যশোরের অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নুর আলী শেখ হত্যা মামলার চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা অভয়নগর থানার এসআই নজরুল ইসলাম। এছাড়া চার্জশিটে দুজন আসামির অব্যহতির আবেদন জানানো হয়েছে।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া গ্রামের মৃত কাদের দফাদারের ছেলে মুরাদ শেখ, মৃত ইলাহী মোল্লার ছেলে হুমায়ুন মোল্লা, রানাগাতি গ্রামের আবছার আকুঞ্জীর ছেলে মিজানুর রহমান মিজান আকুঞ্জী, শুভরাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ গাজীর ছেলে সোহাগ গাজী ও মিজান গাজী, মৃত বিজয় কৃষ্ণ দাসের ছেলে উজ্জল কুমার দাস, নুর মোহাম্মদ ওরফে মিঠু আকুঞ্জীর ছেলে আরমান আকুঞ্জী, শুভরাড়া মাঠপাড়ার মৃত এলাহী বক্স শেখের ছেলে উজির আলী শেখ, শুভরাড়া দক্ষিণপাড়ার মৃত ইলাহী মোল্লার ছেলে ফিরোজ মোল্লা, ইয়াকুব শেখের ছেলে তুরান শেখ ও নছর শেখ, রানাগাতি গ্রামের সোবহান মল্লিকের ছেলে নান্নু মল্লিক, নেউলী গ্রামের গফ্ফার গাজীর ছেলে সুলতান গাজী ও নাউলী উত্তরপাড়ার মোসলেম আকুঞ্জীর ছেলে ফুরকান আকুঞ্জী। এর মধ্যে নছর শেখ ও তুরান শেখকে পলাতক এবং অন্যদের আটক দেখানো হয়েছে চার্জশিটে।
এছাড়া জিয়াদ শেখ ও মুসা গাজী নামে দুই আসামির অব্যহতির আবেদন জানানো হয়েছে। জিয়াদ শেখ শুভরাড়া গ্রামের মৃত কাদের দফাদারের ছেলে এবং মুসা গাজী একই গ্রামের আজগার গাজীর ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ৭ মার্চ রাত ৮টার দিকে শুভরাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নুর আলী শেখ তার ছেলে ইব্রাহিমকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে স্থানীয় বাবুরহাট বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। কিছুদূর পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে গতিরোধ করে এবং নুর আলী শেখের মাথা ও বুকে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান নুর আলী শেখ। পিতাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিতে জখম হয় ইব্রাহিম।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা. তহমিনা খাতুন ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনকে আসামি করে ৯ মার্চ অভয়নগর থানায় একটি মামলা করেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, নুর আলী শেখ হত্যার ৩/৪ মাস আগে অভিযুক্ত আরমান আকুঞ্জীর বড়ভাই আল মামুন আকুঞ্জীকে কে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অভিযুক্ত আরমান আকুঞ্জী ও মিজান আকুঞ্জীর সন্দেহ নুর আলী শেখ এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। তারা নুর আলী শেখকে হত্যার মাধ্যমে আল মামুন আকুঞ্জী হত্যার প্রতিশোধ নেন।