পর্দা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ভাইভায় হয়রানি ও অনুপস্থিত দেখানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধন থেকে বোরকাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফরমাল ড্রেস ঘোষণা, বায়োমেট্রিকস পদ্ধতিতে শনাক্ত, ঐ শিক্ষার্থীকে ভাইভাতে উপস্থিত দেখানো এবং কেউ ধর্মীয় পোশাকের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াছিন আরাফাতের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হাসিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক, ঢাবি শাখার অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী এবং সদস্য আলাউদ্দিন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। এখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পর্দা করে এবং বিভিন্নভাবে তাদেরকে হেনস্তা করা হয়। গত ডি ইউনিটের ভাইভা পরীক্ষায় ডিন একজন ছাত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তুমি হিজাব পড়েছো কেন? ওই ছাত্রী উত্তর দিয়েছিল যে, আমার ফ্যামিলির সবাই পরে তাই আমিও পরি। তখন ডিন বলেছিলেন, পরিবারের সবাই যদি জঙ্গী হয় তাহলে তুমিও কি জঙ্গি হবে? এই হলো আমাদের শিক্ষকের মানসিকতা।
কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মানিক বলেন, এখানে যে যার নিজের মতো সবকিছু পালন করবে, সংবিধান আমাদের সেই অধিকার দিয়েছে। কিন্তু একজন ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে চললে তার সাথে কেন এমন আচরণ করা হবে? ঢাবি প্রতিষ্ঠা হয়েছে মুসলমানদের স্বাথরক্ষাকে কেন্দ্র করে। তাহলে এখানে মুসলমানদের কেন আজকে এই অবস্থা?