বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ স্মরণ সভাকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র অধিকার পরিষদের তিন নেতা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না৷
পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা এই তিন নেতা হলেন সংগঠনের ঢাকা কলেজ শাখার সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রাকিব ও সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ হোসাইন এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু মো. কাউছার। তাদের মধ্যে রাকিব রসায়ন ও কাউছার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত আর ইউসুফ অর্থনীতি বিভাগে তৃতীয় বর্ষে পড়েন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর মধ্যে রাকিব এবং কাউছারের আজ সোমবারও একটি পরীক্ষা ছিল। চলতি মাস ও আগামী মাসে তাদের আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা রয়েছে। আরেক নেতা ইউসুফের একটি পরীক্ষা রয়েছে আগামী বুধবার। কারাগারে থাকায় এই তিন নেতার সামনের পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণও অনিশ্চিত।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, এই তিনজনই নিয়মিত শিক্ষার্থী, তারা অন্যায় ভাবে আটকের ফলে শিক্ষাজীবন থেকে এক বছর পিছিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। ছাত্ররা শুধু রাজনীতি করার কারণে বিনা অপরাধে তারা আজ কারাগারে।দেশে আইনের শাসন না থাকায় এভাবেই মানুষ সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গত শুক্রবার বিকেলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আবরার ফাহাদ হত্যার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে হামলা করে করে ছাত্রলীগ, হামলায় পরিষদের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে গিয়েও তাদের পেটায় ছাত্রলীগ। পরে মেডিকেল থেকে নেতা-কর্মীদের আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এরপর ছাত্রলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান গত শুক্রবার রাতেই শাহবাগ থানায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫ নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার সকালে ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতা-কর্মীকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠায় শাহবাগ থানার পুলিশ। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।