ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুই দিনব্যাপী রোবট অলিম্পিয়াড শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ৫ম বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
দেশের স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক যৌথভাবে এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের সভাপতি অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোবটিক্স এন্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. সেঁজুতি রহমান এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক-এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘জ্ঞান ভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ বিনির্মাণে সরকারের নানা উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে অনন্য ভূমিকা পালন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধাসমূহ কাজে লাগিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন এবং গবেষণায় সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে সম্পৃক্ত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করায় তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।’
জুনাইদ আহমেদ পলক রোবট ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ড ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোবট ব্যবহার করলে মানুষের জানমালের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। রোবট ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে ব্যবসা বাণিজ্য, ব্যাংকিং, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হবে।’
রোবটিক্স ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্মিলিতভাবে কাজ করলে রোবট রপ্তানিরও সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, স্কুল ও কলেজ পর্যায় থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা প্রদানসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত এই অলিম্পিয়াডে জুনিয়র এবং চ্যালেঞ্জ গ্রুপে মোট ৫টি ক্যাটাগরিতে সারা দেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে ১ হাজারের বেশি নিবন্ধিত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।