আসছে পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধে একটি আইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন বরাবর নোটিশটি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
রোববার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো ওই নোটিশে বলা হয়েছে যে, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাজার বছর ধরে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর বাঙালি জনগণ একে অপরের ধর্মকে সম্মান করে এই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, মঙ্গল শোভাযাত্রার নামে একটি কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতির পহেলা বৈশাখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূলত, এই কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে পহেলা বৈশাখের কোন সম্পর্ক নেই ।
১৯৮৯ সালে পহেলা বৈশাখে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে এক ধরণের পদযাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে এই আনন্দ শোভাযাত্রা কে মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নামকরণ করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘মঙ্গল’ শব্দটি একটি ধর্মীয় সংশ্লিষ্ট শব্দ। সকল ধর্মের লোকজন তাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে “মঙ্গল” প্রার্থনা করে থাকেন । এখন এই মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে বিভিন্ন ধরণের দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাষ্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হচ্ছে যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২-ক এর সরাসরি লংঘন। অপরদিকে এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন দৈত্য আকৃতির পাখি, মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর ভাষ্কর্য প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে মুসলিম জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হচ্ছে এবং ইসলাম ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে যা দণ্ডবিধির ২৯৫-ক ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এই নোটিশ পাওয়ার পর অবিলম্বে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন নোটিশদাতা আইনজীবী মাহমুদুল হাসান। অন্যথায় হাইকোর্টে এবিষয়ে রিট করা হবে বলে এই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।