ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ১০ জুন থেকে নিখোঁজ। সঙ্গে রয়েছেন তার সফরসঙ্গী আব্দুল মুকিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির উদ্দিন। পুলিশ তাদের খুঁজে বের করতে তৎপরতা চালাচ্ছে।
তবে কীভাবে, কোথা থেকে আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানসহ তার সফরসঙ্গীরা নিখোঁজ হয়েছেন- তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না পুলিশ। এদিকে মেহেদী হাসান নামে একজনকে খুঁজছে পুলিশ। নিখোঁজের পরদিন মেহেদী হাসান নামের এক ব্যক্তি ত্ব-হা আদনানের পুরনো একটি নম্বর থেকে মা আজেদা বেগমের নম্বরে ফোন করেন। শনিবারও সেই নম্বর থেকে আবার ফোন আসে।
ত্ব-হা আদনানের মা আজেদা বেগম জানান, আমার ছেলের একটি মোবাইল নম্বর ছিল। সেটি দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ। হঠাৎ শুক্রবার বিকালে সেই ফোন নম্বর থেকে কল আসে। আমার সঙ্গে মেহেদী হাসান পরিচয়ে এক ব্যক্তি কথা বলে। এরপর তারা একটি ইমো আইডি খুলতে বললে আমার মেয়ে সেই আইডি খোলে।
তিনি জানান, এর দুই দিন পর শনিবার আবার সেই ফোন নম্বর থেকে কল আসে। এরপর আমার ছেলে এবং তার তিন সঙ্গী ভালো আছে বলে জানায়। কিন্তু আমি জানতে চাই, সে কোথায় আছে এবং আমার ছেলেকে ফোন দাও আমি কথা বলব। তখন তারা টাকা দাবি করছিল। যখন টাকা দাবি করছিল তখন আমরা ইমো আইডিটি বন্ধ করে দেই।
আদনানের মায়ের প্রশ্ন, আমার ছেলের বন্ধ নম্বর তারা পেল কী করে? আসলে তারা কারা? আমাদের পরিচিত কেউ কিনা?
কে এই মেহেদী হাসান? তার কোনো পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ। পুলিশও ওই নামের ব্যক্তির অনুসন্ধান করছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের সঙ্গে নিখোঁজ অপর তিন ব্যক্তির নাম- আব্দুল মুহিত, মোহাম্মদ ফিরোজ ও গাড়িচালক আমির হোসেন ফয়েজ। তারা সবাই আদনানের অনুসারী। ওই রাত থেকে তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ত্ব-হা’র খোঁজ পেতে ইতোমধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিবুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের চার সদস্যের একটি চৌকশ টিম গঠন করা হয়েছে। তারা মাঠে কাজ করছেন। সীমান্তের থানা ও ব্যক্তিগত সোর্সে তার ছবি দেয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারিও।
রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) আলতাব হোসেন জানান, ত্ব-হা’র নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। তার মা থানায় জিডিটি করেছেন। জিডির বিষয়ে তদন্ত চলছে।