নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, দেশকে বাচাঁতে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এভাবে আন্দোলন চললে আগামী ২/৩ মাসে সরকারের পতন হবে। আমরা এই অবৈধ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে জীবন দিতে প্রস্তুত।
শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘দুর্নীতি ও দুঃশাসন’ বিরোধী গণসমাবেশে এসব কথা বলেন ডাকসুর সাবেক এই ভিপি।
ভিপি নুর বলেন, আমাদের চলমান আন্দোলন দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে এই অবৈধ সরকার হঠানো জরুরি হয়ে পড়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় এই সরকার থাকতে দেশকে বিদেশিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
নুর বলেন, যারা গুম, খুন, ভোটাধিকার হরণ করছে তারা নিজের কারণে নিষেধাজ্ঞা পড়েছে। দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করতে গিয়ে তারা নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি। যারা গুম, খুন, ভোটাধিকার হরনের মতো জঘন্য কাজ করবে তারা এরকম দুনিয়াতেও শাস্তি ভোগ করবে, মরার পর আখেরাতেও করবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন নিষেধাজ্ঞা খাবে? আর ৬ জনের কারণে পুরো বাহিনী কলঙ্কিত হতে পারে না। এই দায় সরকারের।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কথা বলছে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। সরকার চাইলেও আগের মত নির্বাচন করতে পারবে না। নির্বাচন করতে চাইলে নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়ার মতো নিষেধাজ্ঞার মতো ঝামেলায় পড়বে। যা দেশকে ভেনিজুয়েলার মতো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচনের পর সরকার অগ্নিসংযোগ করে বিরোধীদের উপর দায় চাপিয়েছে বিদেশিদের কাছে বিরোধীদের সহিংস হিসবে তুলে ধরেছে। এবারও সেই পুরানো ষড়যন্ত্র করছে। তাই তারা হাত ভেঙে ফেলা, আগুনে পোড়ানোর কথা বলছে। বিরোধী দলসমূহের প্রতি আমার আহ্বান জনগণকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে রাজপথে নামুন। সেই আন্দোলন যেখানেই হোক, যারা করুক সেটাই আমাদের আন্দোলন।
তিনি আরো বলেন, দেশের এই সংকটে বিচারক, সামরিক বাহিনী, পুলিশ প্রশাসনসহ সকল নাগরিককে ভাবতে হবে আমরা এই দেশে বাকশাল/ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় সমর্থন করবো নাকি গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গণআন্দোলনকে সমর্থন করবে। এদেশে বাকশাল/ফ্যাসিবাদ কায়েম হলে আগামী প্রজন্ম আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, বিপ্লব পোদ্দার, সোহরাব হাসান, আবু হানিফ, সাদ্দাম হোসেন, শাকিল উজ্জামান, নাজমুস সাকিব, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জসিম উদ্দিন,পাঠান আজহার সহকারি আহ্বায়ক শেখ খায়রুল কবীর, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী যুগ্ম সদস্যসচিব আতাউল্লাহ, আব্দুজ জাহের,তারেক রহমান, ফাতেমা তাসনিম, গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণে আহ্বায়ক ড.মালেক ফরাজী সদস্যসচিব ঈসমাইল হোসেন বন্ধন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক কর্ণেল(অবঃ) মিয়া মশিউজ্জামান, অধিকার পরিষদ যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান শামিম।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সুহেল রানা সম্পদ, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ডা জাফর মাহমুদ প্রমুখ।