কুমিল্লায় এনামুল হক নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত এনামুল হক আলেখারচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জানা গেছে, শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে এনামুল হক মসজিদ থেকে বের হলে স্থানীয় কয়েক জন দুষ্কৃতিকারী এনামুলকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে এনামুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার গলা কেটে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকাল ৩টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাভেল ফেসবুক স্ট্যাটাস লিখেনঃ ২ নং উ: দু্র্গাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুলকে আজ জুম্মা নামাজ শেষে তার ৫/৬ বছরের সন্তানের সামনেই জামাত শিবির ক্যাডাররা জবাই করে হত্যা করেছে। তাকে মারতে পারে এই আশংকা সে করত,এই বিষয় সে প্রায় বলত।কিন্তু সে ছিল অনেক সাহসি হয়ত এই সাহসই কাল হয়েছে।
এনামুল কে যারা পছন্দ করতেননা তাদের ষোলকলা পুর্ন হয়েছে। এনামুলের অভিমান ছিল আমার সাথে, আমি তাকে লোকাল বিষয়ে অনেক ধমকাইতাম। কারন আমি জানি তারা অনেক শক্তিশালি। আজ তারা তাদের শক্তি প্রদর্শন করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের শেষ দুইটি বর্ধিত সভা এবং ৭/৮ দিন আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আলেখারচরের জামাত বি এন পি’র উত্থান নিয়ে সমুহ বিপদের কথা বলেছিলাম, এনামুল হত্যার মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।
এনামুলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ নাই।
আমরা লজ্জিত, অপমানিত এবং অপরাধী – এনামুলকে বাচাতে পারিনি।
ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতরা পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।