ঢাকা অফিস : চলতি (২০২৩) বছর থেকে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। সে হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে,এমন তথ্য দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আয়োজিত ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর বা ২০২৪ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিক একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। তবে এর নানান দিক বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভ্যস্ত হতেও কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে (দশম শ্রেণি পর্যন্ত)। ২০২৬ সালে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ সংশোধনের ইঙ্গিত দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিক্ষাকে সার্বিক শিক্ষায় পরিণত করা। সেটা যে স্ট্রিমেই হোক না কেন। মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও যেন জীবন সম্পর্কিত সব দক্ষতা পায়, সে যেন ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীর থেকে পিছিয়ে না থাকে। সব শিক্ষার্থী যেন সব স্কিল ও নলেজ পায়, সেটা আমাদের স্মার্ট এডুকেশনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে আমাদের ২০১০ সালের যে শিক্ষানীতি ছিল তা আরও পরিবর্তন বা রূপান্তরের আলোচনা আনা উচিত, সে আলোচনা আসছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। তিন দিনব্যাপী এই ফেস্টিভ্যালে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্টল দিয়ে বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শন করছে।
নবদূত/৩০/৫/২৩