Thursday, October 10, 2024
Homeপ্রশাসনসেট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় আঁখি ও নবজাতক হত্যাও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি

সেট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসায় আঁখি ও নবজাতক হত্যাও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি

স্মারকলিপি
বরাবর
মাননীয় মন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
বিষয়:সেট্রাল হসপিটালের ভুল চিকিৎসার কারনে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতক শিশু হত্যাও হাসপাতালের অনিয়ম প্রসঙ্গে স্মারকলিপি প্রদান।
মহোদয়
আমরা সকলে অবগত আছি যে রাজধানীর সেন্ট্রাল হসপিটালে ভুল চিকিৎসার কারণে ইডেন কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী মাহবুবুর রহমান আখি ও তার নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়।
এমতাবস্থায়, এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে আমাদের নিম্নবর্ণিত দাবিগুলো মেনে নিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

১. সেন্ট্রাল হসপিটালের ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতক শিশুকে হত্যাকারী অভিযুক্ত ডা: সংযুক্তা সহ জড়িত ডাঃ দের লাইসেন্স বাতিল করে ,অনতিবলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।

২. সেন্ট্রাল হাসপাতাল আঁখির পরিবারকে ২ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

৩।শুধু ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুবা রহমান আঁখি-ই নয় সেন্ট্রাল হসপিটালের ভুল চিকিৎসার কারনে ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রানীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আফিয়া জাহানের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে সেন্ট্রাল হসপিটালের তৎকালীন পরিচালকে গ্রেফতার করা হয় (তথ্যসূত্র- কালের কণ্ঠ, ২০ মে ২০১৭)।সুতরাং আর কোনো মায়ের বুক যেনো খালি না হয় সেইজন্য সেন্ট্রাল হসপিটালের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।

৪।ডাক্টার সংযুক্তা সাহার অধীনে সেন্ট্রাল হসপিটালে ভর্তি হয়েছিল মাহবুবুর রহমান আখি। সুতরাং ভুল চিকিৎসায় মাহবুবুর রহমান আখি ও তার নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।ডা. সংযুক্তা সাহার অনিয়মের কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো:-

গত ১৩ বছর ধরে বিএমডিসির নিবন্ধন ব্যতীত রোগী দেখা চিকিৎসা ও অপারেশন করা যা সম্পূর্ণ বেআইনি।(রেজিস্টার অফিসার,ডা.লিয়াকত আলী, বিএমডিসি)

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সালমা নামের এক রোগী ভর্তি হন সংযুক্তা সাহার অধীনে, নরমাল ডেলিভারির কথা বলে কাটা হয় মূত্রনালী ও মলদ্বার, বিষয়টি জানাজানি হলে ৪৫ দিন পর নিজ খরচে অপারেশন করিয়ে দিবে সংযুক্ত সাহা এমন প্রতিশ্রুতি দেয় পরিবারকে, কিন্তু ১৭ দিনের মাথায় না ফেরার দেশে চলে যায় সালমা। পরবর্তীতে গুলশান থানায় মামলা হলেও গত দুই বছরে নেই মামলার কোন অগ্রগতি। (দেশ টিভি)

২০০৬ সালে রেজিস্টার হিসেবে শহিদ মনসুর আলী মেডিকেলে নিয়োগ পেলেও অনিয়মের কারণে ২০২০ সালে চাকরিচ্যুত হয়। (দেশ টিভি)

ফেসবুকে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করে থাকে। সেন্ট্রাল হসপিটাল, উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল, ল্যাবএইড হসপিটাল। সেখানে একদিনে গড়ে ১৫-২০ টি ডেলিভারি করান সংযুক্তা সাহা এবং একই সাথে দুই শতাধিকের বেশি রোগী দেখে।

২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সংযুক্ত সাহারা অধীনে এক নারী পুলিশ সদস্যের নরমাল ডেলিভারির কথা বলে অপারেশন করতে গিয়ে কেটে ফেলা হয় ওই নারীর মলদ্বার। (চ্যানেল ২৪)

উপরোক্ত বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে সংযুক্তা সাহার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

৫। দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে মনিটরিং সেল গঠনের মাধ্যমে সকলের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে:-
১। নাজমুল হাসান, শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ।
২। মনিরা, শিক্ষার্থী ইডেন মহিলা কলেজ।

RELATED ARTICLES

Most Popular