অভয়নগরের পুড়াখালী মহিলা মাদ্রাসায় নানা অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর :
জানা যায় মাদ্রাসার শিক্ষিকা কর্তৃক এক শিশু নির্যাতনের ঘটনা কে কেন্দ্র করে গত (শুক্রবার ২১ জুলাই) সন্ধায় মাদ্রাসার অফিস কক্ষে নির্যাতিত শিশুটির অভিভাবক সহ এলাকাবাসী অভিযোগ উত্থাপন করেন।
আলোচনা একপর্যায়ে পুড়াখালি ফকির বাগান কওমি মহিলা মাদ্রাসার অভ্যন্তরে দীর্ঘদিন ধরে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন শিক্ষার্থীর উপর নির্যাতন ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল হাফেজ হযরত মাওলানা আশেক এলাহি দীর্ঘদিন ধরে হজ্ব ব্যবসায়ের কাজে নিয়োজিত থাকায় বছরের অধিকাংশ সময় সৌদি আরব অথবা ঢাকাতে অবস্থান করেন। মাদ্রাসার বড় খালাম্মা অর্থাৎ আশেক এলাহির স্ত্রী তিনিও মহিলা হাজীদের সঙ্গে সৌদি আরব সফর করেন। এই মহিলা মাদ্রাসাটির পরিচালনার জন্য নেই কোনো কার্যকরী ম্যানেজিং কমিটি, নামে মাত্র আফসার আলী মোল্লা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খবর রাখেন না আভ্যন্তরে কোথায় কি ঘটছে। প্রতিবছরই ইচ্ছামত নতুন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ হয় আবার ঝাকে ঝাকে শিক্ষক ছাটাই করা হয়। নেই কোন রেজুলেশন নেই, কোন কমিটির অনুমোদন। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন অত্র মাদ্রাসার মোতামিম তার কাছের কিছু ধামা ধরা ব্যক্তিদের নিয়ে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন।
উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলেন মাদ্রাসায় কোন কার্যকরী কমিটি না থাকায় প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে একের পর এক শিক্ষার্থী নির্যাতন, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, মধ্যযুগীয় কায়দায় শিশু নির্যাতনসহ অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে দ্বীন শিক্ষার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আসা কোমলমতি মেয়েরা। উক্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন শ্রীধরপুর ইউনিয়নের চ্যেয়ারম্যান চেয়ারম্যান এ্যড.নাসির উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বাপ্পি, আফসার আলী মোল্লা, নওয়াব আলী সরদার, জিন্না মোল্লা, রবিউল ইসলাম, নজরুল ইসলাম মোল্লা, খায়ের ফারাজীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।