হোটেল কোয়ারেন্টাইন এর নামে মালয়েশিয়ার কর্মহীন প্রবাসীদের নিকট উচ্চ হোটেল ভাড়ার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের কাছে। ৭ দিনের মাঝে সুরাহা না হলে উচ্চ আদালতে মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়:
মালয়েশিয়া প্রবাসীদের বাংলাদেশে ফেরত এবং উচ্চমূল্যে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন এর হোটেল কোয়ারেন্টাইন এর বিরুদ্ধে সরকারকে মোঃ তারেক রহমান, পিতাঃ আব্দুল লতিফ এর পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
বিস্তারিত:
সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের বাংলাদেশ এর প্রেরণের বিষয়ে অদ্য ই-মেইলে যুব অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, এবং বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের প্রবাসী কল্যান ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদ মো: তারেক রহমানের পক্ষে অদ্য ই-মেইলে বাংলাদেশ সরকারের ক্যাবিনেট সচিব, সিনিয়র সচিব, প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সিনিয়র সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়, ডিজি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পুলিশের আইজিপি বরাবর এই নোটিশ প্রেরন করেছেন বলে তিনি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন।
তিনি তার লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করেন যে মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি সে দেশে অবৈধ ও কর্মহীন শ্রমিকদের যারা দেশে আসতে আগ্রহী তাদের ৫০০ রিঙ্গিত (১০ হাজার টাকা) জরিমানা, বিমান ভাড়া ১৩৬২ রিঙ্গিত (২৭ হাজার ৫০০ টাকা হইতে ৩৫ হাজার টাকা), কোভিড টেস্ট ৩০০ রিঙ্গিত (৬ হাজার ৫৭ টাকা) কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকার মত খরচ হইতেছে। যেহেতু একজন প্রবাসী করোনা নেগেটিভ যাহা ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত বৈধ থাকিতেছে সেখানে। বাংলাদেশে আসা পর বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখার উদ্দেশ্যে সরকার নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নামে এইসব নিঃস্ব প্রবাসীদের অহেতুক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন করা হইতেছে যাহা কোন ক্রমেই এইসব প্রবাসীদের দ্বারা বহন করা সম্ভব নহে।
তিনি নোটিশে আরো উল্লেখ করেন যে, মালয়েশিয়ান প্রবাসীরা বর্তমানে নিঃস্ব এবং বেকার অবস্থায় দেশে কর্মহীন
হয়ে ফেরত আসছে তাদেরকে বাধ্যতামূলক সরকার নির্ধারিত কতিপয় হোটেলে রাখার নামে কর্মহীন প্রবাসীদের আর্থিক ক্ষতি আদৌ কাম্য নয়, আমার
মােয়াক্কেল খোজ নিয়া জানিতে পারিয়াছে, যে সমস্ত হোটেলে তাদের জন্য ব্রাদ্দ করা হয়েছে সেগুলো খুবই ব্যয়বহুল এটা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাদের প্রতি প্রবাসীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসীদের রেমিটেন্সের টাকায় দেশের অনেক অর্থনৈতিক সমৃদ্দ হয় সেখানে তাদের এই দুঃসময়ে এই সমস্ত চাপিয়ে দেওয়া হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের নামে আর্থিক
সম্মুখীন করা মোটেও উচিত নয়। তিনি উক্ত লিগ্যাল নোটিশে প্রাপ্তি ৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন না করিলে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিবেন বলিয়া নোটিশে উল্লেখ করেন।
বার্তাপ্রেরক (একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া)
এডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট