নবদূত রিপোর্ট:
কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় দেশব্যাপী টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। টিকা নিতে আগ্রহীদের অনলাইনে নিবন্ধন করা হচ্ছে। যদিও চরাঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিদা ও ডিভাইসের সংকটের কারণে এ প্রচেষ্টায় ভাটা পড়েছে। তাই মেঘনা নদীর তীরবর্তী জেলা ভোলার বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদের চরে চরে ঘুরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রান্তিক মানুষদের নিবন্ধন ও টিকা কার্ড প্রদান করছে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ সব চরের অধিকাংশ মানুষের কাছে ডিভাইস নেই; আবার চলমান লক-ডাউনের কারণে দোকানপাটও বন্ধ। ফলে তারা শহরে গিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন এবং পূর্বে নিবন্ধনকৃতরা টিকা কার্ড সংগ্রহ করতে পারছিল না। এমন পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যক্তিগত খরচে টিকা কার্ড প্রিন্ট করে দিয়েছেন। একই সাথে সুরক্ষা এ্যাপস ব্যবহার করে নিবন্ধন করে দিয়েছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: জসিম উদ্দিন হায়দার সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গ্রাম বাংলার অসহায় জনগণের জন্য বিনামূল্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধক টিকার ব্যবস্থা করেছেন। সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতেই আমাদের এই উদ্যোগ।
এখনো যারা টিকা কার্ড পায়নি, তাদেরকে বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভোটার আইডি কার্ড এবং মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন হায়দার বলেন, বড় মানিকা ইউনিয়ন মেঘনা নদীতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। ভোটার তালিকা হিসেবে এলকার প্রায় ৩২ হাজার জনসংখ্যার অধিকাংশই নিম্ন মধ্যবিত্ত। করোনা মহামারিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ফলে শহরে গিয়ে টিকা কার্ড সংগ্রহ করতে এলাকাবাসীদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। তাই আমরা বিলামূল্যে টিকা কার্ড এবং রেজিষ্ট্রেশন করে দিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, অনেক পরিবার ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করাতে পারেনি। যারা ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেই।
যেমন, রিক্সা ওয়ালা, কৃষক, জেলে তারা যেন নিবন্ধন না করতে পেরে ভ্যাকসিন থেকে বাদ না যায়। তাই এলাকাজুড়ে প্রতিনিয়ত ভ্যাকসিন সম্পর্কে ধারনা দিয়ে যাচ্ছি।
কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করায় ভোলা-০২ আসনের সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।