কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রেমিকের বৌ-ভাতের খবর শুনে চিরকুট লিখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মিতু (১৪) নামের স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকালে উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ী টেপরীর বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মিতু একই ইউনিয়নের বোডেরহাট এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের মেয়ে। সে শিমুলবাড়ী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, কিশোরী মিতুর মা গার্মেজ কর্মী হাওয়ায় ঢাকায় থাকেন। সেই সুবাদে মিতু মামা মুমিনুলের বাড়িতে থাকার কারণে একই এলাকার আব্দুর রহমান মকুর ছেলে রাজুর (২২) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিন দিন আগে পারিবারিকভাবে প্রেমিক রাজুর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। ঘটনার দিন প্রেমিক রাজু মিতুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার পর অভিমান করে রাজু কে উদ্দেশ্য করে একটি চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মিতুর খালা রোজিনা জানান, গত ঈদুল আযহার তিন দিন পরে মিতু ও রাজু বাথরুমে ধরা পড়েন। তারা দুজনে বিয়ের সম্মতি জানালেও রাজু পরিবারের সম্মতি দেয়নি। বরং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বুদ্ধিতে চালাকি করে ছেলের বিয়ে দেন রাজুর পরিবার। রাজুর বৌ-ভাতের খবর শুনে মৃত্যুর আগে মিতু চিরকুটে লিখেন, আমি মমতা মিতু আমি রাজুকে অনেক ভালোবাসি, রাজুর জন্য আত্মহত্যা করলাম, কারণ আমি ও রাজু দুজন দুজনকে খুব ভালবাসতাম। কিন্তু রাজুর মা ও বাবা আমাদের সম্পর্কটা মানতে চান না, তাই রাজুর বিয়ে দিয়েছে, আজ ওর বৌ-ভাত আমি এটা মানতে পারছি না, তাই আমি এই পৃথিবী ছাড়লাম, কিন্তু এই শাস্তি আমি একাই ভোগ করবো না। আমি চাই আমাদের এই সম্পর্কটার মাঝে যারা বাঁধা ছিল তারা আইনি শাস্তি পাক।
আরো জানান, রোববার বিকেলে সবার অজান্তে কিশোরী মিতু একটি ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। লাশ নামাতে গিয়ে লাশের হাতে একটি চিরকুট দেখতে পাই।
ইউপি সদস্যের জয়নাল আবেদীন জানান, প্রেম সংক্রান্ত কারণেই মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। মেয়েটির হাতে একটি চিরকুট ছিল।
ফুলবাড়ী থানার ওসি তদন্ত সারওয়ার পারভেজ জানান, রাতেই পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে, সকালে মেয়েটির মামা মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণা ধারায় মামলা দায়ের করেছে