বিলাল মাহিনী / যশোর :
যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী প্রভাবশালী মহল অবৈধ ভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে আসছিলো দীর্ঘ দিন ধরে। চুল্লির ধোয়ায় শত শত পরিবারের দুঃখ দূরদর্শার সচিত্র প্রতিবেদন গত দু বছর একাধিকবার বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশ হলে আবশেষে টনক নড়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর সহ স্থানীয় প্রশাসনের।
১৬ আগস্ট সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রসাসন ও এলাকাবাসির সহযোগিতায় অবৈধ কাঠ কয়লার এসব চুল্লি ভাঙ্গে ফেলার অভিযান শুরু হয়। জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্ত খুলনা ও অভয়নগর থানার সোনাতলা পুলিশ ক্যাম্প ও আমতলা ক্যাম্পের প্রসাসনের সহযোগিতায় এলাকার শতাধিক সাধারন জনগন এ অভিযানে অংশগ্রহন করে।
এতে গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছে গণমাধ্যম ও প্রশাসনকে।
উল্লেখ্য বেশ কয়েকবার পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন চুল্লিগুলি ভেঙ্গে দেয়ার পরও আবার নতুন করে কাঠ পুড়ানোর কাজ শুরু করেছিলো এই অবৈধ কয়লা সিন্ডকেটের সদস্যরা। যার ফলে একদিকে বন উজাড় হচ্ছিলো অপরদিকে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত।
অভিযোগ ছিলো প্রতিনিয়ত ফলজ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করছে এলাকার কিছু অসাধু পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি। বিশেষ করে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ধুলগ্রাম ও সিদ্দিপাশার সোনাতলা এলাকার কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলো। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এই এলাকায় প্রায় শতাধিক চুল্লিতে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ চলতো। প্রতিটি চুল্লিতে গড়ে ১৫দিনে প্রায় ২৫০মণ কাঠ কয়লা তৈরির কাজে পুড়ছে। বেশ কিছু চুল্লি ভৈরব নদের তীরবর্তী এবং দূর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের অভিযানের বাইরে থেকে যাচ্ছিলো। তবে চুল্লিগুলোতে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কয়েকদফা অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে ফেললেও পূনরায় আবার ওই চক্রটি সক্রিয় হয়ে কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছিলো দেদারছে বলে অভিযোগ উঠেছিলো আবারও।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, পরিবেশ দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অসাধু চক্রের ভয়ে মুখ খুলতে পারতোনা তারা। তাদের মতে, প্রশাসন যদি জোরালো কোনো ভূমিকা রাখে তাহলে হয়তো এই গাছ কেটে কয়লা তৈরি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। অবশেষে প্রসাননের এ অভিযানে গড়পড়তায় চুলা ভেঙ্গে দেওয়ায় প্রমান হলো প্রসাসনের উর্দ্ধে কেহ নয় অভিমত এলাকা বাসির,তবে এলাকাবাসি প্রসাসনের কাছে জোড়ালো দাবি করেছেন পুনরায় যেনো এই সিন্ডিকেট আবার ও কোন ভাবে চুল্লি চালু করতে না পারে।