সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।
সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুরে উপজেলার বিভিন্ন খালি জায়গাসহ বাজার এলাকার চায়ের দোকানেও চলে প্রকাশ্যে জুয়া খেলা। প্রায়ই প্রতি জুয়ার আসরই জমজমাট। করোনা কালিন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে যেখানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশ রয়েছে সেখানে তারা গাদাগাদি করে জুয়া খেলা ও মাদক বানিজ্যে ব্যস্ত।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় অবাদে বেঁচাকেনা হয় মাদক চলছে জুয়ার আসর । সুখ টানে মগ্ন সবাই। এতে করে যুবসমাজ ধ্বংসে পরিনতি হচ্ছে। এই জুয়া ও মাদকের টাকা জোগাড় করতে অনেকেই চুরি ছিনতাই চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি ঘরের স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়ে না পেলে মারধর সহ ব্যবহারিত নাক ফুল গলার চেইন পর্যন্ত খুলে নিয়ে বিক্রি করছে এ জুয়ারীরা।
স্থানীয় তথ্যমতে ও উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বাজারের বেশ কয়েকটি চায়ের দোকানসহ অন্যান্য দোকানপাটে, প্রকাশ্যে চলে জুয়ার আসর ও মাদক বেঁচাকেনার মনই চিত্র দেখা গেছে বাজার গুলোতে। শুধু বাজারেই নয় বরং ঐ উপজেলার গ্রামাঞ্চলের দোকানপাটে যেন মাদক সেবন ও জুয়া খেলার আস্তানা, ধ্বংসের পথে যুবসমাজর।
এলাকার সুশীল সমাজের লোকজন মনে করছেন প্রশাসনের চোখ বন্ধ রাখা ও পরিবারের উদাসীনতার কারনেই দাগি মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়ারীদের খপ্পরে পরে উঠতি বয়সের তরুণরা ধ্বংসের পথে নেমেছে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা আড্ডার ছলে অপরাধে যুক্ত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন জুয়া খেলা, মাদক বিক্রি ও সেবনকারীদের কারণে নষ্ট হচ্ছে এলাকার যুব-সমাজ, নষ্ট হচ্ছে তাদের আগামী ভবিষ্যৎ।
এ বিষয়ে কয়েকটি বাজারের সভাপতিগনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা বলেন আমরা দোকানের মহাজনদেরকে অনেকবার নিষেধ করেছি তারা যেন কোন ধরনের খেলার আসর না বসায়, কিন্তু তারা কোন বাঁধা মানছেনা এবং বাজারের দোকানদাররা জুয়ারিদের খেলার জন্য আলাদা করে জায়গা করে রেখেছে খেলার জন্য। সভাপতিরা আরও বলেন, এসব লোকদের কারণে, আমাদের যুবসমাজ নষ্ট হচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিৎ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের এক দোকান্দার বলেন, এলাকার কিছু নামধারী নেতারা রয়েছে যারা জুয়া খেলা, মাদক বানিজ্য ও সেবনের সুযোগ করে দিচ্ছে। বিনিময়ে তারা মোটা অংক অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। থানার কিছু অসাধু পুলিশদের নেতারাই ম্যানেজ করে।
এবিষয়ে ধনপুর ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ কালাচাঁন জানান, আমার ইউপিতে মাদক ও জুয়া নিয়মিতই চলছে, আমি প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছি বিশেষ করে আমাদের মুজিব বাজারে মাদকের আড্ডাখানা বেশি হয়।
অন্যদিকে সলুকাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী (তপন) জানান আমার ইউনিয়নে মাদক ও জুয়া চলে সে তার মতো করে চালাচ্ছে, কিন্তু বর্তমান যে পরিস্থিতি এই মুহূর্তে আমার কিছুই করা সম্ভব না।
পলাশ ইউপির চেয়ারম্যান, কাইয়ুম মাস্টার বলেন, আমার ইউপিতে কোন ধরনের জুয়া খেলা চলেনা, যদি এমন কিছু হতো তাহলে আমি নিজেই তার ব্যবস্থা নিতাম।
এবিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য সরকারি নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।