প্রযুক্তির উদ্ভাবনের এই সময়ে যোগাযোগ রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো স্মার্টফোন।
অনেক সময় আমরা আইফোন কিংবা অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে অব্যবহৃত অ্যাপস চালু রাখি। এসব অ্যাপস ব্যাটারির আয় কমিয়ে দেয়। কমবেশি প্রায় সবার মাঝেই হুট করে কোনো অ্যাপ চালু করার পর সেটা পুনরায় ব্যবহার না করে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে দেওয়ার অভ্যাসটি আছে। এতে করে ব্যাটারির বাড়তি কাজ করতে হয়। তাই ব্যাটারির ওপর চাপ কমাতে ব্যবহারের পরপরই ব্যাকগ্রাউন্ডের অব্যবহৃত অ্যাপসগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
স্মার্টফোনের ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে কথা বলার পাশাপাশি গেম খেলা, মুভি দেখা, এমনকি অফিসের কাজেও ব্যবহার করি। স্মার্টফোন ব্যবহারে সচেতনতার অভাবে অনেকের পক্ষেই দীর্ঘদিন ধরে স্মার্টফোন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তাহলে চলুন স্মার্টফোনের বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
সূর্যের আলো- রোদ পোহালে শরীরে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তবে ফোনের জন্য সূর্যের আলো মোটেও উপকারী নয়। দীর্ঘক্ষণ ফোন রোদে থাকলে তা গরম হয়ে যায়। বেশি উত্তপ্ত হলে ফোনের সার্কিট বোর্ড গলে যাওয়া, স্ক্রিন ফেটে যাওয়া ও ব্যাটারি বিস্ফোরণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেছনের পকেটে ফোন- ফোন রাখার জন্য প্যান্টের পেছনের পকেট মোটেও ভালো কোনো জায়গা নয়। পকেটমারের খপ্পরে পড়ার ভয় তো থাকেই, সেই সঙ্গে ভুল করে ফোনের ওপর বসে পড়ারও আশঙ্কাও থাকে।
কভার ছাড়া ফোন- ব্যাগে ফোন রাখতে অবশ্যই কভার ব্যবহার করা উচিত। এতে ফোনের ওপর স্ক্র্যাচ পড়ে না এবং ধুলাবালি মুক্ত থাকে।
বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জ- বজ্রপাতের সময় সবচেয়ে বেশি ফোন নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বজ্রপাত হলে পাওয়ার কর্ড দিয়ে বিদ্যুৎ ফোনে ঢুকতে পারে। তাই বজ্রপাতের সময় ফোন চার্জে না দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে।
ভাইব্রেশন- সারাক্ষণ ফোন ভাইব্রেশনে দিয়ে রাখলে ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয়। ফোনের আয়ু কমে যায়। তাই প্রয়োজন হলে ফোন সাইলেন্টে রাখা ভালো।