নবদূত রিপোর্ট:
জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২০ প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রফ্রন্ট।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে এক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাফেউজ্জামান ফরিদ, অর্থ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যারা শিক্ষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত, তাদের কোনো ধরণের মতামত না নিয়ে এই শিক্ষাক্রম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরা দেখছি একের পর এক নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কিন্তু এই নীতি নিয়ে মানুষের কোনো মতামত নেয়া হচ্ছে না। শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে শিক্ষা নিয়ে যারা কাজ করে, তাদের কোনো মতামত না নিয়েই নীতি চালু করা হচ্ছে এবং তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই নীতি চালু করার ফলাফল কী, সে ফলাফল নিয়েও কোনো আলোচনা হয় না।
তারা আরও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পথে একের পর এক নীতি তারা চালু করেছে। তারা পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা চালু করেছিল, এখন আবার তারাই বলছে ২০২৩ সাল থেকে তা থাকবে না। কেন আপনারা চালু করলেন, আর কেনই বা আবার বাতিল করছেন সে মূল্যায়ন কি আপনারা করেছেন! ২০০৯ সালে যখন চালু করা হয়েছিল আমরা বলেছিলাম, এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিবে, শিক্ষার মান বাড়বে না। তখন তারা শিক্ষার মান বাড়ার স্লোগান দিয়েছিল।
তারা আরও বলেন, এই শিক্ষাক্রম দিয়ে তারা যে উদ্দেশ্য সফল করতে চায়, সেটি হলো একদম টেকনিক্যালি এক্সপার্ট মানুষ তৈরি করা। তথাকথিত কারিগরি বিপ্লবের যে কথা আমরা শুনছি, সে প্রস্তাবনর নিরিখে মানবিকতা, মূল্যবোধ বিবর্জিত মানুষ তৈরি করাই এই প্রস্তাবনার মূল লক্ষ্য।