Friday, November 15, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনঢাবিতে কুকুর আতঙ্ক, আহত ৫

ঢাবিতে কুকুর আতঙ্ক, আহত ৫

নবদূত রিপোর্ট:

কুকরের উৎপাত বেড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)। সম্প্রতি সময়
কুকরের কামড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও পথচারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারও তার আশপাশ এলাকায় অন্তত ৫ জনকে কুকুরে কামড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে তিন জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দুইজন পথচারী। এছাড়া, কয়েকদিন আগে মধুর ক্যান্টিনে একজনকে কুকুর কামড় দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কয়েকদিন আগে একজন বিক্ষুককে কুকুরে কামড় দিয়েছে।

এ বিষয়ে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মোতাহার হোসেন বলেন, আমি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে যাওয়ার সময় প্রক্টর অফিসের সামনে আমাকে কুকুড়ে কামড় দেয়। তখন, একাধিক শিক্ষার্থী বলতে থাকে যে কিছুক্ষন আগেও এখানে দুইজনকে কুকুরে কামড় দিয়েছে। আমি তখন আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে গিয়ে একজন পথচারীকে কান্নারত অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি জানান তাকেও কুকুরে কামড় দিয়েছে। একইদিন আরও একজনকে কুকুড়ে কামড় দিয়েছে বলেও ওই পথচারী জানান।

আহত এক পথচারী জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগের তুলনায় কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে এবং কি বেশ কিছু পাগলা কুকুর দেখা যায়। সবসময় আতঙ্কে থাকি, আর আজ তো একটা বিপদ হয়েই গেল। সাবধান না হলে অনেকজনকে এমন বিপদে পড়তে হবে।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছে  বিশ্ববিদ্যালয় হঠাৎ করে শিক্ষার্থী আসতে শুরু করায় এসব কুকুর শিক্ষার্থীদের বেশি কামড়াচ্ছে। তাই নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের কাছে কুকুর নিধনের আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারের আইনের কারণে কুকুর নিধন আগের মতো আর নেই। দীর্ঘদিন পর ক্যাস্পাসে শিক্ষার্থীরা আসছে। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কুকুরের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কুকুরগুলো শুধু আক্রমণ করেনা বিভিন্ন ধরনের হয়রানিও করেন। বিশেষ করে ছাত্রীরা বেশি হয়নারির শিকার হচ্ছে। নিরাপদ ক্যাম্পাসের জন্য অবশ্যই কুকুর নিধন জরুরি বলে উল্লেখ করেন তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। ব্যবস্থাতো নিতেই হবে। যেহেতু আমার শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছে। সকালে আমরা জানার পরেই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, এটি মূলত সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। কিছু পশুপ্রেমি আছে, তাদেরও সহযোগিতা লাগবে। আমরাতো হিউমিন রাইটস বা প্রাণীদের পক্ষে। কিন্তু প্রাণীর অবস্থান যখন মানুষের জন্য ক্ষতিকারক এবং হুমকির সম্মুখীন তখন নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংশ্লিষ্ট যারা আছে তাদের সাথে কথা বলবো। দ্রুত এগুলোকে ক্যাম্পাস থেকে সরিয়ে দেওয়া না হলে যেভাবে সরানো প্রয়োজন আমরা সরিয়ে ফেলবো।

RELATED ARTICLES

Most Popular