Friday, November 15, 2024
Homeসারাদেশসাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ২০ মিনিটের মৌন অবস্থান

সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ২০ মিনিটের মৌন অবস্থান

নবদূত রিপোর্ট:

সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২০ মিনিটের মৌন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে যুব বাঙালি নামে একটি সংগঠন।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিট থেকে ৬ টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন হয়।

রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে কেউ কোনো বক্তব্য না রাখলেও একটি প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

‘কাটুক আঁধার, জ্বলুক আলো’ শিরোনামের ওই প্রচারপত্রে বলা হয়, সারাদেশে হামলা, ভাংচুর ও সর্বশেষ রংপুরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিছক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা নয়। বরং বাঙালির তৃতীয় জাগরণের পর্যায়কালকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে যেতে না দেওয়ারই চেষ্টা। এ সব ঘটনা দীর্ঘ আন্দোলন এবং সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাঙালির স্বাধীনতা ও জাতিত্বের ওপর আঘাত।

আরো বলা হয়, ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে বাঙালির যে সহাবস্থান তা বিপরীতভাবে চিত্রায়িত করে বাঙালিত্বের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি পর্যায়েও এই ধরণের বহু চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালির সকল আন্দোলনে যুব সমাজের ভূমিকাই অগ্রণী ছিলো। কিন্তু সেই সংগঠিত যুব শক্তিকে কখনই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। বরং নানানভাবে তাচ্ছিল্য করা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে।

প্রচার পত্রে দাবি করা হয়, স্বাধীনতার পর থেকেই রাষ্ট্রীয়-প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সহ সকল কিছু ঔপনিবেশিক আমলের ব্যবস্থাপনা ও লোকবল দিয়ে পরিচালিত হয়ে এসেছে। তারই পরিনাম সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে যুব সমাজ আজকের নিস্তেজ অবস্থায় পতিত হয়েছে। বাঙালিত্ব ধ্বংস করার ধারাবাহিক এই হামলার পরেও দেশের যুব সমাজ একেবারেই নির্জীব অবস্থানে আছে; যা কী না বাঙালির জাতীয়তা বোধ, সম্প্রীতিবোধের বিপরীত।

প্রচার পত্রে আরো বলা হয়, যুব সমাজের অতীত গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের যুব সমাজকে উজ্জ্বীবিত করতে হবে। কেবল তখনই জাগ্রত তরুণ-যুবকেরা বাঙালিত্ব রক্ষা ও বিকাশের সংগ্রামে সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হবে এবং সক্রিয় ভূমিকা পালনে উদ্যোগী হতে হবে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি অদলীয় শ্রম-কর্ম-পেশার সকল জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে বাঙালিত্বের বিকাশের ধারাকে আরো প্রশস্ত করতে হবে।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান তানভীর, সদস্য সচিব তানসেন, দপ্তর সম্পাদক হাসান আসিফ প্রমুখ।

RELATED ARTICLES

Most Popular