নবদূত রিপোর্ট:
ভবঘুরে ও উদ্বাস্তু উচ্ছেদ এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে নিরাপদ ক্যাম্পাস চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারন ছাত্র অধিকার পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সংগঠনটির ঢাবি শাখার আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনটির ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকালে দেখা যায়, যেখানে সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বিল্ডিং তৈরী করা হচ্ছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবথেকে বড় সমস্যা আবাসন সমস্যা নিয়ে প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। অনেক বড় মাস্টারপ্লান নেয়া হয়েছে কিন্তু সেখানে শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিরাপদে পড়াশোনা করবে সে ধরনের কোন পরিকল্পনা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, জনগণের অর্থ ছাত্রদের কাজে খরচ করুন।
ঢাবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, বুয়েটের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের(এআরআই) একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, ঢাকা শহরের যানজটের কারণে মানুষের ৫ মিলিয়ন কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে এবং এর ফলে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে পরিকল্পনাহীনতার কারণে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও এখন যানজট হয়, কারণ কোন সমস্যা নিয়ে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যাওয়া হয় তাহলে তারা সিটি কর্পোরেশন দেখায় আর তাদের(সিটি কর্পোরেশন) কাছে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় দেখায়। সবকিছুর সমন্বয় দরকার, সমন্বয় যদি ঢাকা শহরে থাকে তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও থাকবে আর তখনই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সহ সভাপতি রাসেল আহমেদ বলেন, যেখানে আমাদের ক্যাম্পাস নিরাপদ করে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার কথা ছিলো সেখানে নিরাপদের পরিবর্তে অনিরাপদ করে রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রক্টরিয়াল টিম এসবের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদেরই হয়রানি করছে।
নাট্য ও বিতর্ক সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ক্যাম্পাসে মাদকাসক্ত, ভবঘুরে লোক বেড়ে যাওয়ায় ক্যাম্পাসের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বহিরাগত যারা আসছেন তাদের মধ্যে সাবেক শিক্ষার্থীরাও আছেন, তাদেরও ক্যাম্পাসের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতা দেখানো উচিত।
এছাড়াও মানববন্ধনে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ সহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।