আরিফুর রহমান তুহিন
বাঙালির ইতিহাস হাজার বছরের ইতিহাস। যতদূর জানা যায়, প্ৰাচীনযুগে বাংলা নামে কোনো অখণ্ড রাষ্ট্ৰ ছিল না। বাংলার বিভিন্ন অংশ তখন বঙ্গ, পুণ্ড্ৰ, গৌড়, হরিকেল, সমতট, বরেন্দ্ৰ এরকম প্ৰায় ১৬টি জনপদে বিভক্ত ছিল। বাংলার বিভিন্ন অংশে অবস্থিত প্ৰাচীন জনপদগুলোর সীমা ও বিস্তৃতি সঠিকভাবে নির্ণয় করা অসম্ভব। কেননা বিভিন্ন সময়ে এসব জনপদের সীমানা হ্ৰাস অথবা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলার জনপদগুলোর মধ্যে প্ৰাচীনতম হলো পুণ্ড্ৰ। অর্থাৎ পুণ্ড্রকে আমরা প্রাচীণ বাংলা হিসেবে ধরতে পারি। এর আগেও হয়তো এই বঙ্গে কোনো রাজা-বাদশা বা সম্রাট ছিল কিন্তু ইতিহাস তা প্রমাণ করার মতো যথেষ্ঠ তথ্য-উপাত্ত পায়নি। ওই সময়ে বাংলাকে বাঙালিরাই শাসন করতো। তখন যেহেতু গণতন্ত্র ধারণা ছিল না; তাই রাজপরিবারই ছিল শাসনকর্তা। প্রাচীণ যুগ থেকে বঙ্গীয় অঞ্চল তথা আসাম, পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, বিহার স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল।
বঙ্গীয় মানুষ প্রথম পরাধীন হয় ১২০৬ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির হাতে। তৎকালীন বঙ্গের শাসনকর্তা লক্ষণ সেন পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর মাধ্যমে বঙ্গবাসী প্রথমবার পরাধীন হয়ে পড়ে। সেই শুরু, যা চলেছে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত। যদিও মাঝে ১২ ভূঁইয়ারা এই অঞ্চলে কিছুদিন স্বাধীনভাবে শাসন করতে পেরেছে। তবে মুঘলদের তোপে তা টিকেনি। বারো ভুঁইয়াদের সংখ্যা ১৩ জন ছিল। সাম্রাট আকবর ছিলেন বীর যোদ্ধা। উপমহাদেশের প্রতিটি অঞ্চলকেই তিনি নিজের সম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত করতে চাইতেন।
সম্রাজ্য বিস্তারে আকবরের নীতি ছিল দুইটি। হয় তুমি বশ্যতা স্বীকার করো, নয় তুমি প্রাণ দাও। সম্রাজ্য বিস্তার ও শান্তিচুক্তির জন্য তিনি বিভিন্ন রাজপরিবারে বিবাহও করেছেন। এদেরকে উপপত্নী নামে ইতিহাস আখ্যা দিয়েছে। রাজপুত রাজকন্যা যোধা বাঈ ছিলেন তেমনই একজন। যদিও এক পর্যায়ে যোধা সম্রাটের উপর প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন এবং প্রধান পত্নী হিসেবে নিজের অবস্থান পোক্ত করেন। বিবাহ পরবর্তি তার নাম হয়েছিল মরিয়ম-উজ জামানি। তিনি মূলত ছিলেন জয়পুরের অম্বর রাজবংশের কন্যা। ১৫৭৩ সালে পিতৃগৃহে তার জন্ম হয়।
আকবর ১৫৭৫ সালে বাংলার একাংশ দখল করতে সক্ষম হন। আবারো বাংলার স্বাধীনতা নিভু নিভু করতে থাকে। বাকি অংশের দখল ছাড়ার জন্য আকবর শাসকদের ওপর প্রবল চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। তৎকালীন সময়কার ১২ ভূঁইয়া খ্যাত ১৩ রাজা পণ করেন, কোনোভাবেই স্বাধীনতা হারাতে দেওয়া যাবে না। হয় জীবন দেবো, নয় মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবো। যেই কথা সেই কাজ। ঈসা খাঁ – সোনারগাও, প্রতাপাদিত্য – যশোর বা চ্যাণ্ডিকান, চাঁদ রায় ও কেদার রায় – শ্রীপুর বা বিক্রমপুর, রাজা রাজবল্লভ সেন, কন্দর্প রায় ও রামচন্দ্ররায় – বাক্লা বা চন্দ্রদ্বীপ (বরিশাল), লক্ষ্মণমাণিক্য – ভুলুয়া (নোয়াখালী), মুকুন্দরাম রায় ও সত্রাজিৎ রায়, ভূষণা বা ফতেহাবাদ (ফরিদপুর থেকে পদ্মাপাড়), ফজল গাজী – ভাওয়াল ও চাঁদপ্রতাপ (গাজীপুর ও এর আশপাশ), বীর হাম্বীর – বিষ্ণুপুর (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশ), কংসনারায়ন রায় – তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ ও এর আশপাশ), রাজা রামকৃষ্ণ – সাতৈর বা সান্তোল (ফরিদপুর শহর), পীতম্বর ও নীলাম্বর সেন – পুঁটিয়া (রাজশাহী) ও রংপুর, ঈশা খাঁ লোহানী ও উসমান খাঁ লোহানী – উড়িষ্যা ও হিজলী এবং রশ্নি খা (সম্রাজ্যের এলাকা জানা যায়নি) প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আকবর এদের তোপে টিকতে পারেনি। কিছু কিছু অংশে নিজের বশ্যতা স্বীকার করাতে সক্ষম হলেও অন্যদের সহায়তায় তারা আবারো স্বাধীনতা ফিরে পায়। তবে বিভক্ত বাঙালি ও অভ্যন্তরীণ রাজদ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়ে বাবরের পুত্র সম্রাট জাহাঙ্গীরের দৌহীত্র সম্রাট আওরঙ্গজেব ওরফে আলমগীর ঠিকই নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে সক্ষম হয়। বাঙালির শেষ স্বাধীন সূর্য অস্তমিত হয়ে যায়। এরপর কেটে যায় প্রায় সাড়ে ৩০০ বছর।
এখানে একটা প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই এসে যায়। বঙ্গিয় জাতি শেষ স্বাধীন শাসক হিসেবে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে আখ্যায়িত করে থাকি। অন্তত ইতিহাসের পাঠে এমনটাই বলা হয়। সিরাজ বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার শাসক ছিলেন বলেই এমন আখ্যা দেওয়া হয়। তবে সিরাজ বাংলার সন্তান কিংবা বাঙালি ছিলেন না। নবাবদের ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুঘলরা বঙ্গ দখল করার পর পুরো ভারতবর্ষ এক সাম্রাজ্যের আওতায় চলে আসে। সম্রাট আলমগীর ওরফে আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর এই সম্রাজ্য ক্রমেই দূর্বল হতে থাকে। ভাংতে থাকে একেকটি অঞ্চল। নবাবদের উত্থান এখান থেকেই।
নবাবদের আবির্ভাব মূলত মুঘলদের বাংলার প্রাদেশিক শাসক হিসেবে। ওই সময়ে তারা পুরুষানুক্রমিকভাবে নাজিম ও সুবেদার হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তিতে ১৭১৭ থেকে ১৭৫৭ সাল পর্যন্ত তারা সার্বভৌম বাংলার প্রধান হিসেবে বাংলা, বিহার ও উরিষ্যা শাসন করেছেন। নবাব আলিবর্দী খার নাতি ছিলেন নবাব সিরাজ। মুর্শিদ কুলি খান ছিলেন প্রথম নবাব। মুর্শিদ কুলি খান সম্ভবত ওড়িশা বা দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং এক সময়ে ক্রিতদাস বণে যান। সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময়ে তিনি ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হন এবং এই অঞ্চলের শাসক হন। ১৭১৭ সালে তিনি স্বাধীন নবাব হিসেবে শাসনভার গ্রহণ করেন। তাদের বংশধররাই পরবর্তিতে নবাব হয়েছেন। সুতরাং ১৭১৭ সালের পর বাংলা স্বাধীন হলেও শাসক ছিলেন বিদেশিরা। এছাড়া তারা কলকাতা থেকেই শাসনকার্য পরিচালনা করতো। তাই একথা নির্ধিদায় বলা যায়, ১২ ভূঁইয়াদের পর বঙ্গীয়রা বাংলা শাসন করেছে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে।
দুই দফায় স্বাধীন ও প্রায় সাড়ে ৭০০ বছর পরাধীন বাংলার মূল অরজগতা দেখা দেয় বৃটিশ শাসনামলে। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হলে এই অঞ্চলের শাসনভার চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে। যদিও পলাশীর যুদ্ধের পর মীর জাফর কাগজে কলমে নবাব ছিলেন। পরবির্ততে তার জামাতা মীর কাসিম ক্ষমতার মসনদে বসেন এবং স্বাধীনতার সুখ উপলব্ধি করতে পারেন। তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
১৭৬৪ সালে বক্সারের যুদ্ধে কাসিম পরাজিত হলে পুরো অঞ্চলের ক্ষমতা চলে যায় ব্রিটিশদের হাতে। এরপর থেকেই মূলত বাঙালির অহং মাটিতে লুটাতে থাকে। ক্রমেই দুর্বল ও বিভক্তি বাড়ে নিজেদের মধ্যে। যেহেতু পলাশীর যুদ্ধকে আমরা স্বাধীন বাংলার পতন বলে ধরে নেই তাহলে বলা যায়, বাংলার স্বাধীনাত অতীতে তিন বার খর্ব হয়েছে। প্রথমবার লক্ষণসেনের আমলে, এরপর ১২ ভুঁইয়াদের পতন এবং সবশেষ নবাবদের পতন। এই তিনবারের পতনের প্রথমটি ছিল ধর্মীয় ও বাকি দুটির প্রধান কারণ ছিল অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। সুতরাং প্রথমটি বাদ দিলেও বাকি দুটোর বিস্তর আলাচনা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
এখানে আরেকটি বিষয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন। ব্রিটিশদের থেকে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি দেশের জন্ম হয়েছিল তাতে অন্যতম মূখ্য ভূমিকা ছিল বাঙালিদের। ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলনে বাঙালিদের অংশগ্রহণ ছিল সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে ক্ষুদিরাম, নেতাজি খ্যাত সুবাশ চন্দ্র বসু, মাস্টার দা খ্যাত সূর্য সেন, মীর নেসার আলী তিতুমীর, হাজী শরিয়ত উল্লাহ, দুদু মিয়া, ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ উল্লেখ করার মতো। সবশেষ পাকিস্তান কায়েমেও বাঙালির অবদান ছিল অনেক।
যে দ্বি-জাতি ত্বত্তের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান কায়েম হয়েছিল তার প্রবক্তা ছিলেন শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক। সুতরাং একথা বলা যায়, পাকিস্তানি সামরিক গোষ্ঠির ষড়যন্ত্রে স্বাধীনতার সুখ ভোগ করতে না পারলেও বাঙালি ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট তৃতীয়বার স্বাধীনতা স্বাধীনতা লাভ করে। তবে সাড়ে ৩০০ বছর পর বাঙালি পুণরায় বাংলাকে শাসন করার সুযোগ পায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
প্রথমবার লক্ষণ সেনের যুগে বাঙালি যখন স্বাধীনতা হারায় তখন এর মূলে ছিল ধর্মীয় উত্থান। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যুর পর তার সাহাবীরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু ও রাদিউ আনহুম) সমগ্র বিশ্বে ইসলামের আলোকবাতি ছড়িয়ে দিতে নেমে পড়ে। তারা এজন্য মানুষের কাছে ইসলামের একত্ববাদের দাওয়াত পৌঁছে দেয়। যেখানে বাধার সম্মুখীন হয়েছে সেখানে যুদ্ধ হয়েছে। যেখানে বাধা হয়নি সেখানে কোনো রক্তপাত হয়নি।
অনেকেই বলে থাকেন, ‘তরবারির মাধ্যমে ইসলাম কায়েম হয়েছে’। এই কথাটি ভিত্তিহীন। ‘তরবারির মাধ্যমে ইসলাম কায়েম হয়নি, ইসলাম কায়েমের ক্ষেত্রে অনেক সময় তরবারি ব্যবহার হয়েছে।’ উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পারস্যে ইসলাম কায়েমের ক্ষেত্রে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে। আবার জেরুজালেমে ইসলাম কায়েম হয়েছে কোন প্রকার রক্তপাত বা যুদ্ধ ছাড়াই। বঙ্গ অঞ্চলেও এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে। সিলেটে হযরত শাহ জালাল রহ. গৌড় গোবিন্দ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। এর মূলে রয়েছে, একজন মুসলিম তার সন্তানের সুন্নাতে খতনা অনুষ্ঠানে গরু জবাই করেছিল। গৌড় ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই শিশুটিকে হত্যা করে। এর বিচার করার জন্য শাহজালাল রহ. গোবিন্দ্রের সম্রাজ্য আক্রমণ করে।
হযরত খান জাহান রহ. বাগেরহাটে কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই ইসলাম প্রচার করেন। সেখানে তিনি ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেন। ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার ইসলাম প্রচারের জন্য যখন বঙ্গে প্রবেশ করেন তখন অনেক রাজাই তাকে বাধা দেন। এ সময় যুদ্ধ লেগে যায়। তিনি যখন গৌড় দখল করেন তখন তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এর অন্যতম কারণ ছিল, তিনি মাত্র ২ হাজার সৈন্য নিয়ে গৌড়ের রাজাকে পরাজিত করেছিলেন।
ইখতিয়ার যখন লক্ষণ সেনের সম্রাজ্যে প্রবেশ করেন তখন লক্ষণ সেন ভয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালায়ন করে। তাই কোনো যুদ্ধ হয়নি এই অঞ্চলে। এছাড়া যেহেতু তখন ইসলামেরও ব্যাপক প্রসার লাভ করেছিল তাই অন্যরাও কেউ বাধা দেয়নি। ইখতিয়ার ও তার পরবর্তি অধিকাংশ শাসকরা এই অঞ্চলে স্থানীয়দের মতোই মিলেমিশে সাশন করেন। এজন্য এই অঞ্চল ক্রমেই সমৃদ্ধ হতে থাকে, যার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সুদুর ইউরোপে।
সুতরাং একথা বলা যায়, শাসক যেই থাকুক তিনি যদি ন্যায় পরায়ণ হন তাহলে প্রজাদের তেমন কোনো আপত্তি থাকে না। আর তিনি যদি আগের শাসকের চেয়েও উত্তম হন তাহলে তো সোনায় সোহাগা। জনগণ তখন নিজেকে নিয়েই ভাবতে থাকেন। রাজ্যে কে ক্ষমতায় আসে কি নাই তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় থাকে না। বাংলা ও ভারতবর্ষের ইসলামী যুগেও অনেকটা তেমন ছিল।
সব শাসকই যে এমন ছিল তা না। যেমন গজনীর সুলতান মাহমুদ ছিলেন ভারতবর্ষের জন্য এক মুর্তিমান আতঙ্কের নাম। তিনি ১৭ বার ভারতবর্ষ আক্রমণ করেছেন। প্রতিবারই লুটতরাজ করে আবার গজনী ফিরে গেছেন। এক প্রকার দস্যু হিসেবেই তিনি এই অঞ্চলে খ্যাতি লাভ করেন। আবার আলাউদ্দিন খলজি ছিলেন প্রতাপশালী ও অত্যাচারি শাসক। তার সময়ে মূল্যস্ফীতি রোধে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এজন্য তিনি নিজেই পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিতেন। উৎপাদকদের সেই দামেই পণ্য বিক্রি করতে হতো। এতে কৃষকরা প্রায়ই ক্ষতির সম্মুখিন হতো। অথচ তাদের কিছু বলার ছিল না। তাহলেই খলজী প্রশাসনের অত্যাচার নেমে আসতো।
চলবে……….
লেখক: সাংবাদিক