নবদূত রিপোর্ট:
শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরে শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের ঘোষণাকে প্রত্যাখান করে এবং সারাদেশে সকল গণপরিবহনে হাফপাশের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সকাল ১১ঃ৩০ টার দিকে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সংহতি জানিয়ে। সংগঠনের পক্ষ থেকে ৩টি দাবি জানানো হয়।
হাফ-পাসের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন দিতে হবে। এবং শুধু মহানগরেই হাফ-পাস নয় সারাদেশে সকল জেলা মহানগর গুলোতে হাফ-পাস ভাড়া কার্যকর করতে হবে। এবং সারাদেশের সড়ক দূর্ঘটনায় যে সকল শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ যারা মারা গেছেন প্রতিটি দূর্ঘটনা সুষ্ট তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর যাতে এই ধরনের দূর্ঘটনা না হয় কার্যকর ভুমিকা গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন ‘সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য ৭২ ঘন্টার ভিতরে প্রজ্ঞাপন দিয়ে হাফ পাস নিশ্চিত করতে হবে। চলমান আন্দোলনে নাইম, মঈনুদ্দিনদের তাজা লাশের বিনিময়ে ঢাকা শহরের শিক্ষার্থীরা হাফ পাস পেলো কিন্তু বাইরের শিক্ষার্থীদের কি হাফ পাস লাগে না? ৩০% সিট খালি রেখেই বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। সুতরাং ঢাকা সহ সারা দেশে শিক্ষার্থীদের হাফ পাসের বিষয় টি ধরেই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা ইনিয়ে বিনিময়ে যা বলার চেষ্টা করছেন যে, তারা গরীব খরচ পোষাতে পারছেন না উল্টো ভর্তুকি চাচ্ছেন এগুলো তাদের তাল বাহানা। মন্ত্রীরা গর্ব করে বলছেন যে, তারা ও হাফ ভাড়া দিয়েছেন,বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও ৬৯ এ হাফ ভাড়ার জন্য আন্দোলন করেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ১১ দফার প্রথম দফা ছিলো হাফ ভাড়া। অথচ তারা হাফ পাস চালু করতে পারছেন না। সংসদে দাড়িয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেছেন এই আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা করেনি অথচ আমরা দেখলাম ছাত্রলীগের লোগো পড়া টি শার্ট গায়ে দিয়ে জয় বাংলা বকে হামলা করছে৷ ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতারা বিভিন্ন কাউন্টার থেকে মাসোহারা নেয় তো তারা ছাত্রদের এই আন্দোলনে হামলা ত করবেই। কিন্তু সব ছাত্রলীগের পকেটে ত এই টাকা যায় না তাই ছাত্রলীগের ভাইদের ও এই আন্দোলনে নিজের জায়গা থেকে শক্ত অবস্থান নেবার আহবান জানাচ্ছি। মন্ত্রী মহোদয় সংসদে দাড়িয়ে আরো বললেন, এডজাস্ট করতে হয় এটা বলে কি বোঝালেন মন্ত্রী মহোদয়? তার বন্ধুরা যারা পরিবহন নেতা, শ্রমিক নেতা তাদের সাথে ভাগবাটোয়ারা এডজাস্ট করতে হয়। মন্ত্রী মহোদয়ের উদ্দেশ্যে বলছি এডজাস্ট করতে হলে ছাত্রদের সাথে করুন, জনগনের সাথে করুন। প্রজ্ঞাপন দিয়ে সারাদেশে হাফ পাস নিশ্চিত করুন। নইলে এই এডজাস্টমেন্ট বেশিদিন আর টিকবে না।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সব সময় শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে পাশে ছিল এবং সেই জায়গা থেকে চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনের সংহতি জানিয়ে আসছে। এবং ইতিপূর্বে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছি। আমরা দেখতে পেরেছি সরকার এক ধরনের অস্বচ্ছতার জায়গা থেকে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর হাফ-পাস ভাড়া কার্যকর করেছে। কিন্তু সারাদেশের শিক্ষার্থীরা বরং ঢাকা মহানগর শিক্ষার্থীদের তুলনায় নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সন্তানেরা তাদের পক্ষে পূর্ন ভাড়া দেওয়া সম্ভব না। সেই জায়গা থেকে আমরা বলবো সারাদেশে সকলধরনের গণপরিবহনে হাফ-পাশ ভাড়া দিতে হবে। এবং কিছুদিন পূর্বে নাঈমকে হত্যা ও গতপশু রামপুরায় এসএসসি শিক্ষার্থী বাস থেকে ফেলে দিয়ে মাঈনুদ্দিন হত্যায় করা হয়েছে, সুষ্ঠ তন্তদের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীবের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সহ-সভাপতি সোহেল মৃধা অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ, রুবেল মাহমুদ।