নবদূত রিপোর্ট:
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী সরকারের পঞ্চাশ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকাল ৪টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রাশাসনিক বাধা ও জটিলতায় বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শর্তসাপেক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করার অনুমতি মেলে। প্রতিযোগিতায় প্রায় ৩০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্য থেকে সেরা পনেরো জনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হিসাবে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও বই তুলে দেন ডাকসু’র সদ্যসাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজ, কবি হাসান রোবায়েত এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হুসাইন।
প্রথম তিনজন বিজয়ীকে অর্থ পুরস্কারও প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারকার্য পরিচালনা করেন- অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, উপাচার্য, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক শান্তা তাওহিদা, চেয়ারম্যান, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
জনাব মীর বরকত, আবৃত্তিশিল্পী।
অনুষ্ঠানে ইমরান মাহফুজ বলেন- স্বাধীনতার এতো বছর পরেও আমরা বাংলাদেশের জাতীয় কালচার নিরূপণে ব্যর্থ হয়েছি। আমাদের তরুণ সমাজকে জাতীয় কালচার চিনতে ও বুঝতে নিজেদেরকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
কবি হাসান রোবায়েত বলেন – আবৃত্তি শিল্প যেন কবিতাকে ছাপিয়ে না যায়; বরং আবৃত্তিকারকে কবি মনকে ধারণ করেই কবিতা আবৃত্তি করতে হবে।
নুরুল হক নুর বলেন- প্রশাসন কতোটা সংকীর্ণমনা হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি কবিতা আবৃত্তির অনুষ্ঠানেও বাধা দেয়! এটি তো কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও ছিল না! ছাত্র অধিকার পরিষদ এমন শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ছাত্রবান্ধব ও সৃজনশীল কাজগুলোর মাধ্যমে এগিয়ে যাবে।
বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন- রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যাবো। ইনশাআল্লাহ!
অনুষ্ঠানে আকরাম হুসাইন বলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদ সর্বদা ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে ও তাদেরকে অধিকার সচেতনে কাজ করে যাবে।