বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইতোমধ্যে মিডিয়া জগতে ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ সালে সংঘটিত মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান নিয়ে অনেক Dominant Narratives উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব Narrative-কে আমরা দুইভাবে দেখতে পারি। একটি হল মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি (যেমন – ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে দেশটির সেনাবাহিনী এবং ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি-এর মধ্যকার বিরোধ এবং ক্ষমতার লড়াই, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত এক ডজন উচ্চ পদস্থ সেনা অফিসারদের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে সুচি সরকারের ভূমিকা এবং কূটনৈতিক তৎপরতা নিয়ে অসন্তুষ্টি, এবং বিদ্যমান জাতীয় রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব ইত্যাদি)। অপরটি হল মিয়ানমারের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মেরুকরণ (যেমন – সামরিক অভ্যুত্থানের পিছনে চীনের ইন্ধন!, বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নিন্দা এবং উদ্বেগ প্রকাশ করা, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধের ঘোষণা, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা, চীন এবং রাশিয়ার ভেটো প্রয়োগ করা ইত্যাদি)।
আজকের এই আলোচনায় আমি কেবল মাত্র আন্তর্জাতিক রাজনীতির একটি বিশেষ দিক – আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ এবং তার ভবিষ্যৎ – নিয়ে আলোচনাটা সীমাবদ্ধ রাখতে চায়। কারণ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি একটি বিশাল বিষয়। উদাহরণ দিয়ে বলি, সেনাবাহিনী রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার কারণে রোহিঙ্গাদের সমস্যার সমাধান দীর্ঘায়িত হতে পারে যেটা প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের জন্য সুখকর নয়। আরেকটি দিক হল, মিয়ানমারের সেনা সরকারকে দিয়ে চীন Northeast India-এর বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে চাঙ্গা করতে পারে এবং এভাবে চীন ভারতের সাথে Proxy War চালিয়ে যেতে পারে, যেহেতু সম্প্রতি চীনের সাথে ভারতের সম্পর্কের চরম অবনতি হয়েছে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের কারণে মিয়ানমারে Informal Economy সেক্টরটি খুবই শক্তিশালী হতে পারে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান, প্রতিবেশী দেশ এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার প্রভাব নিয়ে অনেক অনেক আলোচনার স্পেস রয়েছে, যদিও আমি কেবল মাত্র একটি দিক নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছি।
শুরুতে যে প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হলঃ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ কি এবং কেন দেওয়া হয়? সহজ কথায় বলতে গেলে, আমরা যেমন গ্রামে অনেক সময় অপরাধ করলে কোন ব্যক্তি কিংবা পরিবারকে শাস্তি প্রদান করি, বয়কট করি এবং সমাজচ্যুত করি, ঠিক তেমনি কোন রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক মূল্যবোধ (যেমন – মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া), আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা এবং শান্তির হুমকি হিসিবে কাজ করে, সেই রাষ্ট্রকে শাস্তি প্রদান করা হয়। Sanction Scholarship-এর মতে, প্রধানত এই শাস্তি দুইভাবে দেওয়া হয়। এক, অনেক সময় সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে সরকার পরিবর্তন করা করা হয় (যেমন – ইরাক এবং আফগানিস্তানে হয়েছে)। দুই, সামরিক শক্তি প্রয়োগ করা আর্থিক এবং মানবিক দিক থেকে অনেক Costly। এসব বিবেচনা করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা হয় (যেমন – কিউবার উপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধ)। এই দুইটা শাস্তি পদ্ধতির (Coercive/Punitive Approach) উদ্দেশ্য একটাই, টার্গেট রাষ্ট্রের সরকারকে চাপ দিয়ে তার পলিসি পরিবর্তন করানো এবং তার আচরণ পরিবর্তন করানো। মিয়ানমারের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে সেনা সরকারকে চাপ দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে রাষ্ট্র ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া।
মনে রাখবেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধের শাস্তির মাত্রা বিভিন্ন কারনে ভিন্ন হতে পারে। অর্থাৎ, অনেক দেশের ক্ষেত্রে সামগ্রিক অর্থনীতিকে টার্গেট করা হয়। যেমন, কুয়েত দখল করার কারণে ইরাকের উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছিল। এই অবরোধের কারণে পরবর্তী বছরগুলোতে ইরাকের মোট জিডিপির প্রায় ৪০% কমে গিয়েছিল। এই ধরনের অর্থনৈতিক অবরোধের দর্শন হল, যত বেশি টার্গেট রাষ্ট্রের সরকারকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়, তত বেশি শাস্তি সফল হয়, যেহেতু টার্গেট সরকারকে তখন আন্তর্জাতিক দাবি মানতে বাধ্য করা যাবে। আবার, কিছু দেশের ক্ষেত্রে সামগ্রিক অর্থনীতির কেবল মাত্র যেকোন একটা ইকোনমিক সেক্টরকে টার্গেট করা হয়। এছাড়াও, শাস্তি প্রদানকারীর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে শাস্তি দুই প্রকারের হতে পারে – Unilateral Sanction (যখন একটি রাষ্ট্র আরেক রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে) এবং Multilateral Sanction (যখন অনেক রাষ্ট্র মিলে একটি রাষ্ট্রকে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে)।
কিন্ত স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, অর্থনৈতিক অবরোধ টার্গেট সরকারকে আন্তর্জাতিক দাবি-দাওয়া মানতে কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে? এই বিতর্ক নিয়ে একাডেমিক জগতে দুটি ধারা আছে। একদল আন্তর্জাতিক রাজনীতির স্কলার আছেন যারা মনে করেন, অর্থনৈতিক অবরোধ কোন একটি টার্গেট সরকারের আচরণ পরিবর্তন করতে পারে না এবং আন্তর্জাতিক দাবি মানতে বাধ্য করতে পারে না। কেন পারে না? এক্ষেত্রে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক Robert A. Pape তার “WHY ECONOMIC SANCTIONS DO NOT WORK” গবেষণা প্রবন্ধে যুক্তি তুলে ধরেছেন। তার মতে, অর্থনৈতিক অবরোধ তখনই কার্যকর হতে পারে যদি সেটি সব অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলো (যেমন USA, Japan, China, Germany, UK এবং Russia) মিলে করে থাকে। কিন্ত বাস্তব হল, অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলোর মধ্যেকার বোঝাপড়ার অভাব আছে। বিশেষ করে, চীন এবং রাশিয়া বর্তমান সময়ে এক সাথে Western Agenda বিরোধিতা করবে এটা সবায় অনুমান করতে পারে। কেন বিরোধিতা করে জানেন? Realist স্কলারদের মতে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি মানে পরাশক্তিগুলোর Power Politics যেটি বিশ্ব রাজনীতিতে মেরুকরণ হওয়ার পিছনে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে। আজকেও অস্ট্রেলিয়ার একটি জাতীয় দৈনিকে দাবি করা হয়েছে, “ওয়েস্টার্ন পাওয়ারদের Hegemony চ্যালেঞ্জ করার জন্য চীন-রাশিয়া যৌথভাবে একটি New World Order বিনির্মাণ করতে চায়।” যুক্তরাষ্ট্রের Containment Policy-কে চ্যালেঞ্জ করে বিশ্ব রাজনীতিতে তাদের Sphere of Influence বাড়াতে চায়। বিশ্বের Great Power-দের এই আগ্রাসী ক্ষমতার লড়াই জাতিসংঘকেও দুর্বল এবং নিষ্ক্রিয় করেছে। বিশেষ করে ট্রাম্প প্রেসিডেন্সির সময়ে বিশ্ব রাজনীতিতে আরও বেশি Anarchy সৃষ্টি হয়েছে, যে কারণে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে (যেমন- Global Pandemic, উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক ইস্যু, এবং চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ ইত্যাদি) জাতিসংঘও প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের P-5 দেশগুলো দুই গ্রুপে বিভক্ত। একদিকে চীন-রাশিয়া, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স। বিশ্ব রাজনীতিতে এই নতুন মেরুকরনের কারণে জাতিসংঘ আজ বিবৃতি এবং নিন্দা জানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। সবকিছু হিসাবে নিলে একটি অনুমিত সিদ্ধান্ত (Hypothesis) নেওয়া যেতে পারে, “ক্রমবর্ধমান মেরুকরণের সুযোগে আরও অনেক দেশে Military Dictatorship (যেমন কয়েক মাস আগে মালিতে হয়েছে) রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে পারে, যেহেতু অবৈধ সরকারগুলো যে কোন একটি গ্রুপ থেকে প্রটেকশন পেতে পারে।”
অপরদিকে, আরেকটি স্কলার গ্রুপের বক্তব্য হল, অর্থনৈতিক অবরোধ টার্গেট সরকারকে রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসিবে কাজ করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক Nokolay Maronov তার “DO ECONOMIC SANCTIONS DESTABLIZE COUNTRY LEADERS?” গবেষণা প্রবন্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের সাথে টার্গেট সরকারের ক্ষমতা হারানোর কার্যকারণ সম্পর্ককে (Causal Relationship) তার Theory of Foreign Pressure দিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। তার এই তত্ত্বের মূল বক্তব্য হল, “Leaders are more likely to compromise if pressure threatens their survival in office।”
মোট কথা, অর্থনৈতিক অবরোধ কতটা কার্যকর এবং কি কি পদক্ষেপ নিলে বেশি কার্যকর হতে পারে তা নিয়ে বিগত দু দশকের বেশি সময় ধরে বিতর্ক হচ্ছে। চলমান বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি এই তাত্ত্বিক বিতর্কটি মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে খুবই সময় উপযোগী এবং তাৎপর্যপূর্ণ। তবে বলে নিই, আমার যুক্তির অবস্থান প্রথম গ্রুপে। অর্থাৎ, কেন আন্তর্জাতিক চাপের কাছে মিয়ানমারের সেনা সরকার নতজানু না হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি – এই Assumption-এর দুটি দিক আছে। একটি হল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মিয়ানমারের সেনা সরকারের Safeguard আছে। অপরটি হল দেশটির সেনাবাহিনীর দীর্ঘ সময়ের রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা। নিচে এই দুটি দিক নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করলাম।
প্রথমত, প্রকাশ্যভাবে চীনের মিয়ানমারের বিদ্রোহী সেনা সরকারের প্রতি সমর্থন আছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং চীনের Global Times-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের Language of Politics খেয়াল করুন। মিয়ানমারের সাম্প্রতিক সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে চীনের স্পষ্ট বক্তব্য হল “এটা মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি স্বাধীন এবং সার্বভৌম দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। বরং, আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক সংকটকে জটিল করে তুলতে পারে।” বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, চীন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়েছে। এবার প্রশ্ন হল, কেন চীন অংসান সুচি’র সরকারকে চায় না, জানেন? Political Ideology দৃষ্টিভঙ্গিতে অংসান সুচি চীনের জাতীয় স্বার্থের হুমকি। কারণ, অংসান সুচি যে ওয়েস্টার্ন মডেলের ডেমোক্রেসি চায় তা চীন পছন্দ করে না। Ideological Explanation-এর বাইরে আরেকটা ব্যপার হল, চীন কোনদিন মিয়ানমারের ৫৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার বিশাল মার্কেট হারাতে চায়বে না, যে ক্ষেত্রেও চীনের কাছে অংসান সুচি নিরাপদ বন্ধু নয়। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী পলিসি নিয়ে যে ক্ষোভ এবং দ্বন্দ্ব চীনের আছে, সেই জায়গা থেকেও চীন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ যুদ্ধে সামিল হবে না। তাই প্রশ্ন থেকে যায়, চীনকে বাদ দিয়ে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ কতটা কার্যকর হবে?
দ্বিতীয়ত, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ১৯৬২ সাল থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। কিভাবে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধ এবং কূটনৈতিক চাপ উপেক্ষা করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকতে হয় দেশটির সেনাবাহিনী তা ইতোমধ্যে রপ্ত করেছে। লক্ষ্য করুন, দেশটির সেনাবাহিনীর একটি নিজস্ব রাজনৈতিক দল আছে (Union Solidarity and Development Party), তারা নির্বাচনে যায়। তাদের একটি বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী (Electoral Base) আছে। বিভিন্ন পত্রিকায় এবং টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, সেনা অভ্যুত্থানকে সমর্থন জানিয়ে মিছিল হয়েছে। তাদের একটি নিজস্ব টেলিভিশন চ্যানেল আছে, যেটা প্রপাগান্ডা মেশিন হিসিবে কাজ করে থাকে। এরকম একটি শক্তিশালী বাহিনী (2021 Global Military Strength Ranking-এ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ১৩৯ দেশের ভিতরে ৩৮তম) কি সহজে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে হার মানবে? এছাড়াও, আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ইমেজ যেহেতু খুবই খারাপ, সেদিক থেকেও তারা Risk-taking Behavior করতে পারে। অর্থাৎ, এমনিতে দেশটির এক ডজন উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা মানবাধিকার এবং গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত। সেই কারণে, তাদের হারানোর কিছু অবশিস্ট নেই। তার সাথে যুক্ত হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও সেনাবাহিনী রাষ্ট্র ক্ষমতায়। এটাও মিয়ানমারের সেনা সরকারকে সাহস জোগাবে। তাই উপসংহারে বলা যেতে পারে, মিয়ানমারে যে সেনা অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির মেরুকরণের ফসল!
অনুরাগ চাকমা
শিক্ষক, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।