নবদূত রিপোর্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দ্য সূর্য সেন হলের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাজী পরশ মিয়াকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্র মোঃ সিফাতুল্লাহ সিফাতকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে হল প্রশাসন।
গত ১২ ডিসেম্বর হলের ৩৫১ নম্বর কক্ষে সিফাতুল্লাহ কর্তৃক নির্যাতনের পর হল প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন পরশ নামের ওই শিক্ষার্থী।
অভিযোগের ভিত্তিতে সুর্যসেন হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে এই সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সিফাতকে হল থেকে বহিস্কার করে হল কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতে এক নোটিশে বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পূর্বপর ও বর্তমান একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় হল প্রশাসন বিব্রত এবং এতে করে আবাসিক ছাত্রদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একজন ছাত্র কর্তৃক এ ধরনের ঘটনা ঘটানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি লঙ্ঘন, মর্যাদা ও আইনের পরিপন্থি। উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে হল থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এতে আরো বলা হয়, ভবিষ্যতে আপনাকে হলে অবস্থান করতে দেখা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিফাতুল্লাহর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। গত ৮ নভেম্বর রাতভর দুই শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। দুই নির্যাতিত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীর কাছে লিখিত অভিযোগও করেন। পরে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মকবুল হোসেন ভূঁইয়ার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছে তারা অভিযোগ প্রত্যাহার করে। ২০১৮ সালে ছাত্রী নিগ্রহের কারণে সিফাতকে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করা হয়।
সিফাত ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহান খান জয়ের অনুসারী ও ছাত্রলীগের সুর্যসেন হল শাখার উপ-দপ্তর সম্পাদক ইমরান সাগরের ছোট ভাই হিসেবে পরিচিত।