নবদূত রিপোর্ট:
অন্তঃসত্ত্বা ও বিবাহিত ছাত্রীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে না থাকার বিধি বাতিল চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ঢাবির আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ শিশির মনির এ নোটিশ পাঠান।
ঢাবির উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রোক্টর এবং কুয়েত-মৈত্রী, সামসুন্নাহার ও সুফিয়া কামাল হলের প্রোভোস্টকে এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, ঢাবি প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারাত্মক অসন্তোষ এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ওই সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও সংবিধানবিরোধী।
তাই নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তিন কার্যদিবসের মধ্যে বাতিল না করলে রিট আবেদন দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি শামসুন নাহার হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে বিবাহিত দুই ছাত্রীর সিট নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই পাঁচটি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ ও প্রচলিত নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পাঁচটি হলে আসন বণ্টন–সম্পর্কিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়মভঙ্গের কারণে তার সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে চলতি সেশনে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’