বিলাল মাহিনী, যশোর :
শিল্প বানিজ্য ও বন্দরনগরী যশোরের অভয়নগর উপজেলার শিল্প শহর নওয়াপাড়ার প্রাণকেন্দ্র স্বাধীনতা চত্বরের সীমাহীন যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নওয়াপাড়াবাসী।
নওয়াপাড়ার নুরবাগ থেকে স্বাধীনতা চত্বর হয়ে টেকারস্ট্যান্ড পর্যন্ত ব্যস্ততম এ সড়কটি দখল করে দোকানীরা চাউল, খৈল, ভুষি লোড আনলোড অব্যহত রেখেছে।
সকাল ৮টা হতে দুপুর ২টা ও বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোড আনলোড চলায় যানজটে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষকে। দিনের অধিকাংশ সময় ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, ইজিবাইকসহ ছোট বড় যানবাহন সড়কের ৬০ ভাগ দখল করে রাখায় ঘটছে ছোটবড় নানা দুর্ঘটনা।
সরকারী বেসরকারী বেশ কয়েকটি হাসপাতালে যাওয়ার গুরুত্বপুর্ন সড়কটিতে যানজট লেগে থাকায় প্রায় সময় এ্যম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়ি যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায়।
বিশেষ করে স্বাধীনতা চত্বর কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ভ্যান, ইজিবাইক, মটরসাইকেল ও সিএনজি স্ট্যান্ডের কারণে তিব্র যানজটের সৃষ্ঠি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে ভারী যানবাহন বাইপাস সড়কে ঢুকে পড়াকে দায়ী করছেন বিভিন্ন স্ট্যান্ডের গাড়ী চালকরা। ২৯ ডিসেম্বর বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নুরবাগ থেকে স্বাধীনতা চত্বর পর্যন্ত বেশকিছু চালের আড়ৎ রয়েছে। তারা অধিক মুনাফার লোভে দিনের ব্যস্ততম সময়ে সড়কে গাড়ী রেখে চাল গুদাম লোড-আনলোড করছে। আবার স্বাধীনতা চত্বর থেকে টেকারস্ট্যান্ড পর্যন্ত বেশকিছু খৈল, ভুষির ছোটবড় দোকান রয়েছে, তারাও সড়ক দখল করে আলমসাধু, পিকআপে লোড আনলোড চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা চত্বরের ৩’শ গজের মধ্যে ৩টি ভ্যান, ৩টি ইজিবাইক, ১টি মটরসাইকেল স্ট্যান্ড রয়েছে। এসব অনুমোদনহীন স্ট্যান্ডের কারণে যানজটের আকার দিন দিন বেড়েই চলেছে। মটরসাইকেল চালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একবার এই সড়কে ঢুকে পড়লে বের হতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট কখনও কখনও ঘন্টায় পেরিয়ে যায়। তাই এ রোড এড়িয়ে চলি।
স্বাধীনতা চত্বরের ফার্মেসি মালিক অলোক সরকার বলেন, যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করা ও জায়গা পেলেই সিরিয়াল না মেনে গাড়ি ঢুকিয়ে দেওয়া এ সড়কে যানজটের মূল কারণ।
এসড়কে চলাচলকারী একাধীক ব্যক্তি জানান, স্বাধীনতা চত্বরের যানজট নিরসনে ভ্যানস্ট্যান্ডসহ সকল স্ট্যান্ড স্থানন্তর করতে হবে। অন্যাথায় এর কোন প্রতিকার সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
বিলাল মাহিনী
যশোর