ক্যাম্পাস ডেস্কঃ
গবেষণা মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে জাগ্রত করে। নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় জাগায়। বাস্তবিক কোনো সমস্যার সমাধান করাই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য৷ আর গবেষণা করার সম্ভাবনাময় জায়গা হল বিশ্ববিদ্যালয়। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ও (গবি) এর ব্যতিক্রম নয়। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও গবেষণা করছেন কিংবা গবেষণার সাথে জড়িত আছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এ নিয়ে বিভাগের সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমরা নিদিষ্ট বিষয়ের উপরে অনুসন্ধান ও পর্যালোচনা করেছি। নানান জনগোষ্ঠীর জীবন যাপন নিয়ে কাজ করেছি। মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সম্ভাবনা ও সমস্যা সম্পর্কে জেনেছি।’
এর উপর ভিত্তি করে একটি সমীক্ষা তৈরি করেন শিক্ষার্থীরা৷ যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় গণ পরিবহনে (বাস) যাত্রী ব্যবস্থা এবং সন্তুষ্টি, মারমা জনগোষ্ঠীর জীবন যাপন ও সমস্যা, পূর্ব প্রতিশ্রুতিমূলক দাম্পত্য জীবন: সংসারের উপর প্রভাব, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবন যাপন ও সমস্যা।
এছাড়াও তামাকপাতা উৎপাদন ও প্রভাব, কিশোর গ্যাং সম্পর্কে শিশুদের ভাবনা, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা ও সমস্যা বিষয়ে গবেষণা করেন তারা৷
পরে গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফল অধ্যাপক, শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে প্রতি সেমিস্টারে এই আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন শেষ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা৷ এ গবেষণা প্রবন্ধ সেমিস্টারের একটি কোর্সের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে বিভাগটি৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৪২০/এ মিলনায়তনে প্রবন্ধগুলো উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষণা ও পরীক্ষা মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক ডা. এম ডি তারিকুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও আইন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান শহিদুল ইসলাম মল্লিক, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রধান ড. ফুয়াদ হোসেন প্রমুখ।