শিক্ষা ডেস্কঃ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলা ও মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডিয়া চত্ত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রফ্রন্ট মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক বেরোবি শাখা সভাপতি যুগেশ ত্রিপুরা, বেরোবি শাখা সভাপতি রিনা মুরমু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য যুগেশ ত্রিপুরা বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মদতে পুলিশি নগ্ন হামলা ও মিথ্যা মামলা আবারো প্রমাণ করলো দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই।
শিক্ষার্থীরা তাদের জর্জরিত সংকট সমস্যা নিয়ে কথা বলার পরিবেশ নেই। উপাচার্য থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সকল ক্ষেত্রে দলীয়করণের জন্য ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। সম্প্রতি শাবিতে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা তারই প্রমাণ।
তিনি আরো বলেন আমরা এই ন্যাক্কার জনক ঘটনা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের উপর করা মিথ্যা মামলা তুলে নেয়া সহ শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে সারাদেশের সকল ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।
বেরোবি শাখা সভাপতি রিনা মুরমু বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ এর প্রত্যক্ষ মদদে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হওয়ায় তিনি উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছেন। অবিলম্বে তাকে উপাচার্য পদ থেকে অপসারণ করে শিক্ষার্থীবান্ধন উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে এবং প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের উপর করা মামলা তুলে নিতে হবে।
এছাড়াও শাবিতে উপাচার্যের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি বর্বর হামলা চালানোর প্রতিবাদে গতকাল ১৮ জানুয়ারি বেরোবি প্রধান ফটকের সামনে ও রংপুর প্রেসক্লাব মার্কেটের সামনে মানববন্ধন করেছে রংপুরে অবস্থানরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং উপাচার্যের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলা চালানো হয়
এতে ৫০ জনের উর্ধ্বে সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়। তারমধ্যে একজন শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আই.সি.ইউতে নিতে হয়। এ ঘটনায় আবার পুলিশ উল্টো তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করেছে।