নবদূত রিপোর্ট:
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়েছে। তবে করোনার কারণে গত বছরের ন্যায় এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্প পরিসরে এ পূজা উদযাপন করা হয়েছে।
প্রতি বছর যেখানে প্রায় ৮০টি মণ্ডপের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হতো, সেখানে শুধুমাত্র উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি মাত্র কেন্দ্রীয় পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় শুরু হয় পূজা অর্চনা। এরপর ১০টা থেকে শুরু হয় অঞ্জলি প্রদান। সন্ধ্যা ৬টায় আরতি অনুষ্ঠান।
এ উপলক্ষে জগন্নাথ হলে সকাল থেকে ছিল বিদ্যার্থীদের ভিড়। উপোস থেকে মায়ের সামনে এসে পূজা অর্চনা করছেন তারা। মায়ের কাছে তারা সংগীত ও অন্যান্য বিষয়ে ভালো ফলের জন্য প্রার্থনা করছেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক শিশুদেরও দেখা গেছে। মাস্ক এবং স্বাস্থ্যবিধি বাধ্যতামূলক করা হলেও তা পুরোপুরি মানতে দেখা যায়নি।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমরা বিশাল আয়োজনে পূজা উদযাপন করতে পারিনি। এবারও একেবারে সীমিত পরিসরে কেন্দ্রীয়ভাবে পূজা পালন করা হয়েছে। এবছর শিক্ষার্থীরা হলে ছিল এবং দূর-দূরান্ত থেকেও অনেক শিক্ষার্থী পূজায় অংশ নিতে এসেছেন।
সামনের বছর পুরোনো আমেজে আবারও পূজা উদযাপন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক মিহির লাল সাহা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, স্ব স্ব হলের প্রাধ্যক্ষসহ আবাসিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সরস্বতী পূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। সরস্বতী বিদ্যা, জ্ঞান ও সুরের দেবী। তিনি সকল প্রকার হীনতা, সংকীর্ণতা, সাম্প্রদায়িকতা ও অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির জয় কামনা করেন। সত্য, সুন্দর, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।