ক্যাম্পাস ডেস্কঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হিমেলের স্মৃতির স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় রাবির কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম ফাহিম মাহমুদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, হিমেলের নির্মম মৃত্যুর ঘটনায় আমি প্রথমেই সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। হিমেল আমাদের জন্য সম্ভাবনাময় ছিল কিন্তু অকালেই প্রাণটি ঝরে গেছে। হিমেলের আত্মার শান্তির জন্য এখন আমাদের দোয়া করা ছাড়া আর অন্য কোনো পথ নেই।
উপাচার্য আরও বলেন, আমরা হিমেলের মায়ের ভার পোষণের সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছি। হিমেলকে ঘিরে আমরা অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে, আর কিছু কিছু বাকি আছে। আশা করি খুব শীঘ্রই এসব বাস্তবায়িত হবে।
চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জোহা হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক একরামুল ইসলাম, চারুকলা অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় রাবির হবিবুর রহমান হল সংলগ্ন রাস্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবীব হিমেল নির্মমভাবে ভবন নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী বহণকারী এক ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হন। এ ঘটনার পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পাঁচ ট্রাকে আগুন দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি করেন। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি জানালে তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার তাদের সকল দাবি মেনে নেয় এবং ইতোমধ্যে এর কিছু কিছু বাস্তবায়নও করেছেন তিনি। হিমেল ‘হত্যাকান্ডের’ পর থেকে এখনও আলপনা এবং জলরঙে ছবি এঁকেসহ নানাভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।#