নবদূত রিপোর্টঃ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া এলাকায় জোমাদ্দার বাড়ির সংলগ্ন লেবুবুনিয়া খালের দু’পাশে প্রায় হাজারো লোকের বসবাস। তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ
বাঁশের একটি নড়বড়ে সাঁকো। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীর।
এলাকাবাসী বহুদিন ধরে সরকারি খরচে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু ব্রিজের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। স্থানীয় লোকজনেরা কয়েক মাস পর পর নিজ খরচে সাঁকোটি নির্মাণ করে আসছে। প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি যেন গ্রামবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরজমিনে স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে ওই খাল পেরিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অধিবাসীরা যাতায়াত করে আসছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন মাঠের ফসল নিয়ে কৃষকরা এ সাঁকো পার হন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। সাঁকোটির পাশে রয়েছে দক্ষীণ আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ, এতিমখানা ও মসজিদ। ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা এ নড়বড়ে সাঁকো পারাপারে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এ ছাড়া মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের নিকট আনা-নেয়ায় দারুণ বিপাকে পড়তে হয় তাদের।
গ্রামের সুলতান আহমেদ বাদশা নামে এক বৃদ্ধা জানান, তাদের ভোগান্তি কেউই দেখতে আসেন না। আক্ষেপ করে বলেন, এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে। দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী মিথিলা ও হৃদয় বলে, এত বড় সাঁকো পার হতে ভয় করে। একটা ব্রিজ হলে দৌড়ে স্কুলে যেতে পারতাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: সোহরাব হোসেন জানান, দীর্ঘ বছর ধরে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে চলাচল করছেন। এতে গ্রামবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ খুবই জরুরি। আমড়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: সুলতান আহমেদ জানান, বাঁশের সাঁকোর স্থানে সরকারি অর্থায়নে একটি ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করা হবে। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো: আশিকুর রহমান জানান, সাঁকো সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।