নবদূত রিপোর্ট:
প্রকাশনার লোকসান কথা বিবেচনা করে স্টল ফি ৫০% কম রাখা ও কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে বই মেলার সময়সীমা বাড়তে পারে৷ এছাড়াও কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে ও দর্শনার্থীদের সুরক্ষার জন্য টিকা কার্ড সাথে আনা ও অনলাইনে নিবন্ধন করে আসার চিন্তাভাবনা রয়েছে৷
অমর একুশে বইমেলা ২০২২, প্রস্তুতি কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে এমনটা জানান সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী কে এম খালিদ৷
তিনি বলেন, একটা অনিশ্চয়তা মধ্যে আমরা ছিলাম, শেষ পর্যন্ত আমরা আশাবাদী ১৫ তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বইমেলা উদ্বোধন করবেন৷ আসলে আমরা অভ্যস্ত একুশের বইমেলা ফেব্রুয়ারি মাস ব্যাপী হয়৷ মেলার যে সময় কাল দু’সপ্তাহ, কোভিড পরিস্থিতি উপর বিবেচনা করে, যদি সংক্রমণের হার যদি নিয়ন্ত্রণে আসে, সহনশীলতার মধ্যে আসে তাহলে আমরা চেষ্টা করব মেলার সময়সীমা বৃদ্ধি করতে৷
দর্শনার্থীদের সুরক্ষা ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, দর্শনার্থীদের নিজেদের দায়িত্ববোধ হতে আমরা তাদেরকে বলেছি, টিকা দিয়ে আসার জন্য ও নিজেদের সাথে কোভিড টিকা সনদ নিয়ে আসার জন্য৷ এছাড়াও অনলাইনে সনদের মাধ্যমে নিবন্ধন করে আসার একটি পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে৷
এছাড়াও কোভিড কালে বইমেলা পূর্ণতা না পাওয়ায় বিভিন্ন প্রকাশনা বা প্রকাশক যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে তাদের কোনো প্রণোদনা দেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, বিশেষ কোনো প্রণোদনা তাদের কে দেওয়া হয় নি, তবে গতবারের ন্যায় এবারও প্রণোদনা হিসেবে স্টল ফি ৫০% কমিয়ে নেওয়া হচ্ছে৷ গত তিনটা মেলা একইভাবে যাচ্ছে, এতে অনেক প্রকাশকই বই প্রকাশের আগ্রহ হারাচ্ছে৷