Thursday, December 26, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনফলাফলে অনিয়ম করায় ঢাবিতে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি

ফলাফলে অনিয়ম করায় ঢাবিতে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি

নবদূত রিপোর্ট:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দুই শিক্ষককে ওই বিভাগের পরীক্ষায় ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।

শিক্ষকরা হচ্ছেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সবুর খান ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন। তাঁরা দুজনেই ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৭ সালের ৩য় বর্ষ ৬ষ্ঠ সেমিস্টার বি.এ সম্মান পরীক্ষায় ফলাফলকে ব্যাপকভাবে ব্যবধান রেখে চূড়ান্ত করার আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শৃঙ্খলা পরিষদের (২৯ জানুয়ারি,২০১৯) সুপারিশ ও সিন্ডিকেটের (৩০ জানুয়ারি,২০২২) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন বছরের জন্য পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হলো।


উক্ত পরীক্ষার ১ম ও ২য় বার টেবুলেশন সংক্রান্ত সকল বিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে ফেরত দিতে বলা হয়।

উপস্থিতি, মিডটার্ম এবং কোর্স ফাইনাল এ তিন ধরণের নম্বরের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দেখা গিয়েছিল। কোথাও আবার মূল নম্বরের থেকেও বেশি দেখানো হয়েছিল। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল, কোনো কোর্সে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫০ নম্বর পর্যন্ত গরমিল হয়েছে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর বেলায় প্রকৃত নম্বর থেকে প্রদর্শিত নম্বর কম দেখানো হয়েছিল। তবে কয়েক স্থানে প্রকৃত নম্বর থেকে প্রদর্শিত নম্বর বেশি দেয়া হয়েছিল। এক ছাত্রীর ফলাফলে সবচেয়ে বড় অসঙ্গতি দেখা গিয়েছিল।

চার কোর্সে তাকে মোট ২৮ দশমিক ৫০ নম্বর কম দেয়া হয়েছিল। তার ৩০৫ নম্বর কোর্সে বড় অসঙ্গতি দেখা যায়। তার প্রদর্শিত কোর্স ফাইনাল নম্বর ২৮, পরবর্তীতে তিনি সে কোর্সে ৪১ দশমিক ৫০ নম্বর পান। এখানে তাকে ১৩ দশমিক ৫০ নম্বর কম দেয়া হয়েছিল। এছাড়া ৩০৬, ৩০৭ এবং ৩০৮ নম্বর কোর্সে যথাক্রমে ৩, ৩ দশমিক ৫০ এবং ৮ দশমিক ৫০ নম্বর কম দেয়া হয়। ৩০৮ নাম্বার কোর্সে এক ছাত্র ৪৪ দশমিক ৫০ পান। পরে তার ফলাফল বেড়ে হয় ৪৭ দশমিক ৫০। ৩০৭ নাম্বার কোর্সে ফাইনাল পরীক্ষায় সূর্যসেন হলের শাহিন আলম নামের এক ছাত্র ২৩ পেলেও পুনঃপরীক্ষায় তিনি পান ২৯। ৩০৫ নাম্বার কোর্সে যে শিক্ষার্থী ৪০ দশমিক ৫০ পান তিনি পুনঃপরীক্ষণে পান ৪২ নাম্বার। তবে প্রদর্শিত নাম্বার ছাড়াও পুনঃপরীক্ষণের ফলে অনেকেই বিভিন্ন কোর্সে কম নম্বরও পেয়েছিলেন। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীর ৩০৭ নম্বর কোর্সে প্রদর্শিত নম্বর ৪২ কিন্তু তার প্রকৃত নম্বর ৩১ দশমিক ৫০। এখানে ১০ দশমিক ৫০ নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল।

তাদের টেবুলেটিংকৃত এ ফলাফলে দেখা যায়, সর্বমোট ১১ জন রোলধারী শিক্ষার্থীর চারটি কোর্সের ৩২টি স্থানে প্রাপ্ত নম্বর কমবেশী করার প্রমাণ মেলে। ডিবির সাব কমিটির নির্দেশক্রমে ৩০ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সংশোধিত পুনঃ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পুনঃ প্রকাশিত ফলাফলে ৭ জনের জিপিএ ও সিজিপিএ পরিবর্তন ও দুই জনের মার্কশিট সংশোধন পুর্বক ফলাফল ঘোষিত হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular