তেলের প্রস্তাবিত মূল্যবৃদ্ধিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটা ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত ও ১০জন গ্রেফতার হয়।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল ৩ টায় শহীদ মিনারে গণঅধিকার পরিষদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিস্থলে ছাত্রলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ অবস্থান নেওয়ায় গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশটি কাকরাইল মোড়ে হয়। শহীদ মিনারে যাওয়ার পথে শাহবাগে মোড়ে পুলিশি বাধায় মিছিলটি ঘুরে প্রেসক্লাবের উদ্দেশ্য রওনা হলে ঢাকা ক্লাবের সামনে রমনা জোনের এডিসি হারুনের নেতৃত্ব রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশ ও ছাত্রলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলার পরও বিক্ষোভ মিছিলটি শাহবাগ,পল্টন মোড়, গোলাপশাহ মাজার ঘুরে কাকরাইল মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
কাকরাইল মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর বলেন, “দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে শহীদ মিনারে আমাদের শান্তিপূর্ন কর্মসূচি ছিলো। আমাদের কর্মসূচি বানচাল করতে আমাদের পূর্বঘোষিত স্থান শহীদ মিনারে ছাত্রলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। আমরা সংঘাত এড়াতে শহীদ মিনারে না গিয়ে প্রেসক্লাবে সমাবেশটি শেষ করার লক্ষ্যে শাহবাগ থেকে মিছিলটি ঘুরাই। কিন্তু সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে পিছন থেকে পুলিশ,ছাত্রলীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত ও ১০ জন পুলিশের হাতে আটক হয়। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, হামলা-মামলা করে আমাদের দমন করা যাবে না। বিনা ভোটের সরকারের কারণে দেশে জনদুর্ভোগ বাড়ছে,একের পর এক দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ছে। অনতিবিলম্বে দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে হবে।সরকারকে বলবো, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে এনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বিদায় নেন। অন্যথায় আপনাদেরকেও নিষ্ঠুর পরিণতি বরণ করতে হবে”।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া বলেন, “সমাবেশ করতে না দিয়ে সরকার নিজেদের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ করেছে।সরকার জনগণের ভোট ছাড়া জোর করে ক্ষমতায় আছে।জনগণকে কষ্ট দিয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে এ সরকার আর বেশীদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। জনগণ এভাবে রাস্তায় নামলে খুব শ্রীঘ্রই এদের পতন হবে।পুলিশসহ প্রশাসনকে বলবো আপনারা এই সরকারের বেআইনি আদেশ পালন করবেন না। অনতিবিলম্বে আমরা চাল,ডাল, তেল,পেঁয়াজ ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম কমানোর দাবি জানাই, আমাদের আটকে নেতাকর্মীদের মুক্তি চাই। অন্যথায় এদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে সরকার পতনের দাবিতে আমরা রাস্তায় নামবো”।