শিক্ষা ডেস্কঃ
করোনা সংক্রমণ রোধে আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, ‘২ সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কিংবা বন্ধ রাখার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’
আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাবিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।”
এদিকে, আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ৷ করোনাকালীন সময় টানা বন্ধে সৃষ্ট সেশনজট একাডেমিক কার্যক্রম সচল রেখে কাটিয়ে উঠতে চায় তারা ৷
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, “বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে বন্ধ করতে হবে। একাডেমিক কাউন্সিলের আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগন শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, শিক্ষার্থীরা যা চাইবে সেটাই একাডেমিক কাউন্সিলে কার্যকর হবে।”
এব্যাপারে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ্ বিন কায়জার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, “মারা গেলে যাব সমস্যা নেই, কিন্তু এই বছর অনার্স শেষ চাই। যদি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে হয় তাহলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে ও ৪ মাসে সেমিস্টার শেষ করতে হবে। নাহলে বন্ধের দরকার নেই। যেখানে ২০২১ এ অনার্স শেষ হওয়ার কথা সেখানে আর কত পিছাবো?”
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হবে কিনা সে ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য এ.কিউ.এম. মাহবুব জানান, “বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ব্যাপারে আমরা কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। রবিবারে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।”