শিক্ষা ডেস্কঃ
সব বাধা জয় করে স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তবতা, আত্মমর্যাদা, সাহস ও বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক। নিজ অর্থে বিশাল এ সেতু নির্মাণ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ শনিবার (২৫ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের, ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর। যার মধ্য দিয়ে অবসান হয়েছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার। উন্মোচন হয়েছে নতুন সম্ভাবনার দ্বার।
আর এই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ শনিবার সকাল (২৫ জুন) সকাল ১২ টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) এক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রভোস্টগণ, প্রক্টর, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থীবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক হয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে সমাপ্ত হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাপনী সভায় বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। সভাটি পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোঃ বাহাউদ্দিন গোলাপ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন তাঁর বক্তৃতায় বাঙালীর স্বপ্নদ্রষ্টা স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন যে, “পদ্মা সেতু আজ আর কোন স্বপ্ন নয় বরং তা আজ কোটি বাঙালীর স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎ, সাহসী ও যোগ্য নেতৃত্বের কারনে।”
সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
উপাচার্য আরও বলেন, “বহু কাঙ্খিত এ সেতুর কারনে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষ দেশের সকলপ্রান্তের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে। যার ফলে এ অঞ্চলের মানুষদের জীবনযাত্রা ও জীবনমানে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পদ্মা সেতুর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হবে । এ অঞ্চলের জনগণ পরিকল্পিত জনসম্পদে রূপান্তরিত হবে। কর্মসংস্থান ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ আবদান রাখবে। যা এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানকে উন্নতির দিকে ধাবিত করবে। আগামীতে দক্ষিনাঞ্চল হবে অন্যতম বাণিজ্যিক ও শিল্পনগরী।