সিগন্যাল অমান্য করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বাধা দেয়ায় সিলেট মহানগর ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধর করেছেন নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেয়া এক তরুণ। এ সময় তার ভাইসহ তাকে আটক করে থানাহাজতে নেয়ার সময় আরেক কনস্টেবলকেও মারধর করে পোশাক ছিঁড়ে ফেলেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
১২ জুন,শনিবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে সিলেট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- সিলেটের টুকেরবাজার এলাকার পীরপুর গ্রামের সন্তোষ চৌধুরীর ছেলে সৌরভ চৌধুরী ও বাদল চৌধুরী।
পুলিশের সূত্র জানায়, শনিবার (১২ জুন) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং চারদিকের সড়কেই গাড়ির লম্বা লাইন লেগে যায়। এ সময় ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দুদিকের গাড়ি বন্ধ করে দুদিকের গাড়ি ছাড়েন। কিন্তু ‘ছাত্রলীগ নেতা’ পরিচয় দেয়া সৌরভ সার্জেন্টের সিগন্যাল অমান্য করে মোটরসাইকেল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে জসিম উদ্দিন তাকে বাধা দেন।
এ সময় সৌরভ উত্তেজিত হয়ে ‘আমি ছাত্রলীগ করি। ফোন দিলে তর অবস্থা বেহাল হবে’ এ কথা বলে ট্রাফিক সার্জেন্টের দিকে তেড়ে গিয়ে মারধর শুরু করেন সৌরভ। এতে ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিম উদ্দিন গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ দ্রুত চৌহাট্টা পয়েন্টে গিয়ে সৌরভ চৌধুরী ও তার সাথে থাকা বাদল চৌধুরীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এবং ট্রাফিক সার্জেন্ট জসিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আটকের পর গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদের থানাহাজতে নেয়ার সময় সৌরভ ক্ষেপে গিয়ে কনস্টেবল সাইফুর রহমানের ওপর হামলা চালান। আচমকা তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকেন এবং তার গায়ে থাকা পুলিশের উর্দি ছিঁড়ে ফেলেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আবু ফরহাদ জানান, ‘এ ঘটনায় ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তাদের আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক (সিলেট)