মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার। ইচ্ছে করলেও এখন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আগামী প্রজন্মের কাছে ইতিহাস, ঐতিহ্য জানতে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ইতিহাসের বই পড়ার কোন বিকল্প নেই।
আজ (২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রি.) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র ফিয়েক্সা কক্ষে ‘একাত্তরে রুয়েট : মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ মুক্তিযােদ্ধা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি. আবদুস সবুর এই সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,’স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর আমরা অতিক্রম করেছি। যাঁরা ঐ সময়ে মুক্তিযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন তাঁরাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত সাক্ষী৷ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সব সময়ই চেষ্টা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণ রাখতে৷ সারা বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভবনগুলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে। স্বাধীনতার কথা, আলোচনা সর্বত্রই করা উচিত নতুবা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধকে ভুলে যাবে৷ মুক্তিযুদ্ধে প্রকৌশলীদের যে ভূমিকা রয়েছে তা সংরক্ষণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর’।
আবদুস সবুর বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রচুর বই লিখতে হবে। যাঁরাই লিখতে চান বা চাইবে তাদের রাষ্ট্রীয় ভাবে মর্যাদা দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে৷ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে।
বইটির লেখক বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,নাটোরের পুরকৌশল বিভাগের প্রধান ড. ইঞ্জি. মাে: রশিদুল হাসান ও প্রকাশক ইঞ্জি.শফিকুল ইকবালের উপস্থিতিতে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, আইইবির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, ভারপ্রাপ্ত সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রতীক কুমার ঘোষ,আইইবির ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃআবুল হোসেন, সম্পাদক খায়রুল বাসার,আইইবির যন্ত্রকৌশল বিভাগের সম্পাদক আবু সাঈদ হিরো।