ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমন ভয়াবহভাবে বাড়ছে। সীমান্তবর্তী জেলা থেকে ডেল্টার সংক্রমণ ঘটেছে সারা দেশে। ফলে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে।লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে শনাক্ত-মৃত্যু। দেশের ৩০টি সীমান্তবর্তী জেলার অধিকাংশই ঝুঁকিতে রয়েছে। ডেল্টার সংক্রমণও সীমান্তের জেলা হয়ে দেশে ছড়িয়েছে।
সোমবার (২১ জুন) আরও চার হাজার ৬৩৬ জনের নমুনায় করোনার উপস্থিতি মিলেছে। শনাক্ত ও মৃতের অধিকাংশই দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ভারত সীমান্তঘেঁষা রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের। করোনা সংক্রমণের আঘাতে স্বাস্থ্য খাতের একের পর এক দুর্বলতা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে দেখা গেছে, দেশে এক হাজার মানুষের অনুপাতে একটিরও কম শয্যা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে দেশে এক হাজার মানুষের অনুপাতে সাড়ে তিনটি শয্যা থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশে শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ বা একটিরও কম শয্যা রয়েছে। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের হাসপাতালগুলোতে সংকুলান হচ্ছে না করোনা রোগীর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন্স অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, রাজশাহী বিভাগের ১০ হাসপাতালে ৯৬৬টি সাধারণ বেড রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১৬০টি শয্যা ফাঁকা রয়েছে। ৪৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ১৭টি ফাঁকা রয়েছে।খুলনা বিভাগেরও ১০ হাসপাতালে ৭৩৮টি সাধারণ শয্যার ২২৩টি শয্যা ফাঁকা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ৪০ আইসিইউর ১৪টি ফাঁকা থাকার কথা বলা হয়েছে।