রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪২ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ারলেস গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ও দগ্ধদের ঢাকা কমিউনিটি ক্লিনিক, আদ্ব-দীন হাসপাতাল, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বিস্ফোরণে পর ভবনে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিসের রমনা স্টেশনের স্টেশন অফিসার ফয়সালুর রহমান এর আগে জানান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে বিস্ফোরণের কথা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও ঠিক কোথায় থেকে বিস্ফোরণ ঘটলো তা তাৎক্ষণি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিস্ফোরণের পর পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের উদ্ধার কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালায়। ওই ঘটনার পর পুরো এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বিস্ফোরণ যে ভবনে হয়েছে চার তলা সেই ভবনের প্রথম দুই তলায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপরের দুই তলার বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির নিচের তলা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। প্রথমতলার ছাদও ধসে পড়েছে। বিস্ফোরণে আশপাশের অন্তত ৩০০ গজের মধ্যে থাকা ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ভবনের উল্টে পাশে রাস্তা পার হয়ে একটি বহুতল ভবন। সেখানে আড়ং বিক্রয় কেন্দ্র। ওই ভবনটির ৫তলা পর্যন্ত জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে। পাশের ‘বিশাল সেন্টার’ নামের একটি শপিংমলের কাঁচও ভাঙা দেখা গেছে। রাস্তায় আটকে থাকা বাস ও গাড়ির কাঁচ ভেঙে চুরমার অবস্থায় দেখা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধণ বলেন, ভবনটির নিচ তলায় শর্মা হাউজ ও বেঙ্গল মিট নামে দুটি প্রতিষ্ঠান ছিল। দোতলায় সিঙ্গারের শো-রুম ছিল। সেখানে ফ্রিজসহ নানা ইলেকট্রিক পণ্য বিক্রি হতো। বিস্ফোরণের পর শো-রুমটির প্রায় সব পণ্য লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক্স পণ্য থেকে নাকি অন্য কিছু থেকে এই বিস্ফোরণ হয়েছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।