নবদূত রিপোর্ট:
করোনাকালে মানসিক বিভিন্ন চাপের ফলে আত্নহত্যার চিন্তা করেছে ৫০.১ শতাংশ তরুণ-তরুণী। তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা আঁচল ফাউন্ডেশনের ‘করোনাকালে তরুণদের আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক জরিপে এমনটি উঠে এসেছে।
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে অনলাইনে আয়োজিত এক ওয়েবনিয়ারে তরুণদের আত্মহত্যা বৃদ্ধির কারণ ও প্রতিকার তুলে ধরা হয়। ওয়েবনিয়ারে জরিপের ফল তুলে ধরেন আঁচল ফাউন্ডেশনের রিসার্স এন্ড এনাইলাইস টিমের হেড সাজিয়া ইফফাত।
গত তিন মাস (এপ্রিল, মে ও জন) পর্যন্ত পরিচালিত এই জরিপে মোট ২ হাজার ২৬ জন স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। জরিফে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করে ১৮-২৫ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীরা। যা মোট জরিফের ৮৪.৯ শতাংশ। এতে পুরুষ অংশ নেন ৩৬.১ শতাংশ, নারী অংশ ৬৩.৮ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ছিলেন ০.১ শতাংশ।
জরিপের তথ্য মতে, করোনাকালে তরুণদের মধ্যে অধিকাংশই মানসিক বিষণ্ণতায় ভোগেন। যেমন, অধিকাংশ সময় মন খারাপ থাকা, পছন্দের কাজ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা। অস্বাভাবিক কম বা বেশি ঘুম হওয়া, কাজে মনোযোগ হারিয়ে ফেলা, নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা, সবকিছুতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা। এ সমস্যাগুলো তীব্র আকার ধারণ করলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তারা।
মানসিক বিভিন্ন চাপের ফলে অনেকের মাঝেই আত্মহত্যা করার চিন্তা বা প্রবণতা দেখা দিয়েছে। জরিফের মাধ্যমে দেখা যায় ৫০.১ শতাংশ তরুণ-তরুণী আত্মহত্যার চিন্তা করেছেন, বাকি ৪৯.৯ তরুণ-তরুণী চিন্তা করেনি। আত্মহত্যা চিন্তা কারীদের মধ্যে ৩৯.১ শতাংশের মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা এসেছে, কিন্তু চেষ্টা করেনি। ৮.৩ শতাংশ আত্মহত্যার জন্য বিভিন্ন উপকরণ করেছে কিন্তু আত্মহত্যার চেষ্টা করেনি। বাকি ৩.৭ শতাংশ আত্মহত্যার চেষ্টা করেও বিফল হয়েছে।
জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে হতাশায় ভুগেছে ৬৩.২ শতাংশ তরুণ আর এতে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছে ৩.৭ শতাংশ। নিজের শারীরিক ক্ষতি করেছে ২৯.২ শতাংশ শিক্ষার্থী৷ আর করোনাকালে মানসিক চাপ পড়েছে ৬৩.৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর৷