নবদূত রিপোর্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।
শনিবার (৭ আগস্ট) প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মাসুদ রানা (মার্ক্সবাদী), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সভাপতি আল কাদেরী জয়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান। একইসাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান তারা।
এর আগে গত ২ আগস্ট বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত ভৌমিক সনাতন ধর্মের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে এ মামলা করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বিতর্কিত আইনে লেখক মুস্তাককে কারাগারে কার্যত হত্যা করা হয়েছে। ঝুমন দাশসহ শিক্ষক- সাংবাদিক- রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে,গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন সংবেদনশীল ব্যক্তিবর্গ এবং প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সংগঠনসমূহ। আন্দোলনের চাপে শাসকগোষ্ঠীর কর্তাব্যক্তিরা এই আইন সংশোধনের কথা বলেছিলেন। প্রগতিশীল ছাত্র জোট দীর্ঘ দিন ধরে এই আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এরকম সময়ে এই আইনে আবারও মামলা দেয়া হলো।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে। এই ধারা দুটি ধর্মীয় অনুভূতিতে “আঘাত হানা” সংক্রান্ত। মানুষের ধর্মীয় অনূভুতি এতই সূক্ষ যে কার কোন বিষয়ে ধর্মীয় অনূভূতিতে আঘাত করবে সেটা কিভাবে নির্ধারিত হবে বা সেটা কে ঠিক করবে এই আইনে এ সম্পর্কে কোনো কথা নেই। তাই এই আইনের অপব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ ডিজিটাল আইনে গ্রেফতারকৃত সকলের মুক্তি ও এই আইন বাতিলের দাবি জানান।