বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) এবং চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি অ্যান্ড রাইটসের (এফডিএসআর) অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কিটো ডায়েটের পরামর্শদাতা ডা. জাহাঙ্গীর কবির। গতকাল শনিবার ফেসবুকে ‘আমি একজন সত্যিকার এমবিবিএস ডাক্তার’ শিরোনামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি এই ব্যাখ্যা দেন। সেইসঙ্গে চিকিৎসা বিষয়ে তার দেশি-বিদেশি সনদ ভিডিওতে দেখান।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘এফডিএসআর এর পক্ষ থেকে আমার কাছে একটা চিঠি এসেছে। অনেকেই এটাকে উকিল নোটিশ মনে করেছেন। কিছু মিডিয়াও সেটাকে উকিল নোটিশ বলে প্রচার করেছে। এটা আসলে উকিল নোটিশ ছিল না। এটা একটি ব্যক্তিগত চিঠি ছিল। আমি জানি না চিঠিটা মিডিয়াতে কীভাবে এসেছে বা আসা উচিত ছিল কি না। চিঠিটা মিডিয়াতে যাওয়ার ফলে আমি ব্যক্তিগতভাবে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি আসলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমার বাবা-মা কান্নাকাটি করছে। বিভিন্ন মিডিয়াতে যখন এই খবরগুলো এসেছে তারা অনেক কষ্ট পেয়েছে।’
নিজের ডিগ্রির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছু মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আমি যে ডিগ্রিগুলো ব্যবহার করি সেগুলো আসলে সঠিক না। আমি এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। আমার মূল ডিগ্রিটি হচ্ছে এমবিবিএস (২০০০ সাল) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ।’
এ ছাড়া কিছু ট্রেনিংয়ের বিষয় উল্লেখ করেন তিনি। এর মধ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সার্টিফিকেট, এফসিজিপি ট্রেনিং সার্টিফিকেট, বারডেমের সিসিডি কোর্স, ওপেন ইউনিভার্সিটি ইউকে থেকে ডায়াবেটিস ও অ্যাজমার ট্রেনিং রয়েছে। এ ছাড়া তিনি দেশি-বিদেশি ট্রেনিংয়ের সনদ, আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণ, পোস্টার প্রেজেন্টের সদন ভিডিওতে দেখান।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার একটাই আবেদন। আমার ডিগ্রিগুলো সঠিক না হলে আমি কীভাবে ২০ বছর ধরে প্র্যাকটিস করছি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করছি? কীভাবে পেজেন্টেশন দিয়েছি? আমি বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে সেমিনার করেছি। এই বিষয়গুলো আমি বলার চেষ্টা করেছি। এরপর আপনাদের মনে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। আমি আশা করব, আপনাদের সব বিভ্রান্তি দূর হবে। আমি আমার বাস্তবতা আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম। আর বিএমডিসি থেকে যে চিঠি পেয়েছি সেটার আলোকে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার প্যাডে শুধু ডা. জাহাঙ্গীর কবির (এমবিবিএস) লিখব। আর কিছু লিখব না। আমি যে কাজ করছি আমার মনে হয় এর থেকে আর বেশি কিছু লিখার দরকার নেই।