নিজস্ব প্রতিবেদক:
পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলে দেশের সবকিছু খোলা রাখা হলেও বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর পিছনে কাজ করছে সরকারের ভয়। গত দেড় বছরে স্বাস্থ্যখাতে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে আমরা সবাই দেখেছি । এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষদের ক্ষোভ রয়েছে। সরকার ভাবছে শিক্ষার্থীরা যদি এসব নিয়ে ফুঁসে উঠে তাহলে সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যাবে । এ ভয় থেকেই সরকার করোনার অজুহাত দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না।
বিশেষ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার দাবি জানিয়ে রাশেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে বলা হয়েছে ,সব শিক্ষার্থী টিকা পেলে সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে। কিন্তু আমরা দেখছি, চার লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র দুই লাখ শিক্ষার্থী টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। আর ৭৯ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ নিতে পেরেছে। ফলে প্রচলিত পদ্ধতিতে টিকা কার্যক্রম চললে এবছরেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। আমরা আর আশ্বাসে বিশ্বাস রাখবো না। শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকার আওতায় নিয়ে এসে সেপ্টেম্বরের এক তারিখ থেকেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে অবিলম্বে সকল ছাত্র সংগঠনকে সাথে নিয়ে জোরালো কর্মসূচী ঘোষণা দেয়া হবে বলেও জানান রাশেদ শাহরিয়ার।
সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, দেশে সবকিছু চললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কারণ শিক্ষা মানুষকে বিবেক এবং চোখ খুলে দেয়। এই আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। তরুণ যুব সমাজ এদের বিরুদ্ধে লড়তে চাই৷ এজন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে যেনো শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পেতে না পেরে৷ এর মধ্য দিয়ে একটা প্রজন্মকে সরকার মেরে ফেলতে চাই।