Saturday, September 21, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনঢাবিতে চলছে হল খোলার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

ঢাবিতে চলছে হল খোলার শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি

নবদূত রিপোর্ট:

করোনার কারণে গত বছরের ২০ মার্চ থেকে বন্ধ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো। শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন নেয়া শর্তে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে মাস্টার্স ও অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। আর হল খুলে দিতে চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হল,কবি জসিমউদ্দিন হল, সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল,শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও স্যার এ এফ রহমান হল ঘুরে দেখা গিয়েছে হলগুলোতে চলছে সংস্কারের কাজ৷ এর মধ্যে রয়েছে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন বসানোর কাজ, দেয়ালে রং করা, হলের মেস ও ক্যান্টিন মেরামত করা সহ পূর্ণাঙ্গ হল সংস্কারের কাজ।

হল খোলা ও প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, আমাদের উপাচার্য মহোদয় ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সবকিছু সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলের গেটে হাত ধোয়ার বেসিন বসানো হচ্ছে, হল ক্যান্টিন-শৌচাগারের সংস্কারের কাজও চলছে। দ্রত গতিতেই কাজগুলো এগিয়ে চলছে। নির্দিষ্ট সময়ে কাজগুলো সম্পন্ন করতে আমরা ছুটির দিনেও কাজ করছি৷

প্রভোস্ট কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন,  কোনো হলে গণরুম এবং অছাত্র থাকতে পারবে না, সে অনুযায়ী একটি গাইড লাইন তৈরি করা হয়েছে। করোনাকালে হল খুললে যে ঝুঁকি, তার অগ্রগতি ও বিশেষজ্ঞদের মতামত সাপেক্ষে করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং হলগুলোর শতভাগ প্রস্তুতিতে কাজ চলছে।

কবি জসিম উদ্দিন হলের প্রাধ্যাক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ জানান, হল সংস্কারের মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হল গেটে হাত ধোয়ার বেসিন বসানো হচ্ছে। হলের ভিতরে রং করা, ক্যান্টিং, রিডিং রুম, টয়লেটসহ সমস্ত হলের সংস্কার চলছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আমরা হল খোলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবো।

এদিকে ক্যাম্পাস খোলার পূর্বে  শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক এবং প্রক্টোর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম গোলাম রাব্বানীকে সদস্য সচিব করে এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। কমিটি ছয় দফা স্বাস্থ্যবিধির আলোকে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা ও করণীয় নির্ধারণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় নীতিমালার আলোকে এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোর ও প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরি করেছে। যা ইতিমধ্যে প্রভোস্ট কমিটিতে উত্থাপিত হয়েছে এবং কমিটি তা পাস করেছে।

নীতিমালার বিষয়ে অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আলোকে তৈরি করা এই সব বিধিতে তিনটি বিষয় বাধ্যতামূলক। সেগুলো হলো, রুমের বাইরে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, বারবার সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। এই জন্য বিভিন্ন ভবনে প্রয়োজনীয় সুবিধা থাকার কথা জানান তিনি।

RELATED ARTICLES

Most Popular