প্রযুক্তি ডেস্কঃ
বর্তমান সময়ে একদিকে জনপ্রিয় এবং অন্যদিকে প্রয়োজনীয় স্মার্টফোন ডিভাইস। শুধু ফোনকল নয়, হরেক রকম কাজ এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা সম্ভব।
আর তাই আমাদের মধ্যে অনেকেই একটি ভালো মোবাইল ফোন কিনতে চেয়ে থাকেন। তবে বাজারে অনেক বেশি অপশন থাকায় কোনটা রেখে কোনটা ক্রয় করলে মনের মতো হবে, তা নিয়ে একটু বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় প্রায় অধিকাংশ মানুষকেই।
সুতরাং, এই বিভ্রান্তি কিছুটা হলেও দূর করার জন্য চলুন জেনে নিই ভালো মোবাইল ফোন কেনার পাঁচ কার্যকর পরামর্শ—
অপারেটিং সিস্টেম
মোবাইল ফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেম একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ- আপনার ফোনের ফাংশনালিটি এবং ফোনটিতে কী ধরনের অ্যাপ রান করবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে অপারেটিং সিস্টেমের ওপর। বর্তমানে মোবাইল ফোনের জন্য নানা ধরনের অপারেটিং সিস্টেম দেখা গেলেও তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেমটি হলো গুগলের তৈরি অ্যানড্রয়েড। যদি অ্যাপল ডিভাইসের কথা চিন্তা করেন, তাহলে আইওএস। এই অপারেটিং সিস্টেমগুলো ব্যবহার করা ফোনগুলোতে যে কোনও ধরনের অ্যাপ ইনস্টল করা যায়। পৃথিবীর সব অ্যাপই মূলত এ দুটি অপারেটিং সিস্টেমকে টার্গেট করে ডেভেলপ করা হয়। তাই সব সময় চেষ্টা করুন মোবাইল কেনার সময় যাতে এ দুটির মধ্যে যে কোনও একটি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা থাকে।
স্টোরেজঃ
মোবাইলে র্যাম ও রম দুই ধরনের স্টোরেজ রয়েছে। তার মধ্যে র্যামটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, র্যাম যত বেশি হবে মোবাইলটা চালিয়ে আপনি তত বেশি মজা পাবেন আর রম নিয়ে খুব একটা চিন্তা করা দরকার হয় না। কারণ, আপনি চাইলে তা বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
প্রসেসরঃ
মোবাইল ফোনের জন্য প্রসেসর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। একটি ভালো ফোনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তার একটি শক্তিশালী প্রসেসর থাকবে। বর্তমান সময়ে ফোনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের প্রসেসর দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে যে সব ফোনগুলোতে কোয়াল্কম স্ন্যাপড্র্যাগন ৮৪৫ বা তার বেশি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে শক্তিশালী প্রসেসর সমৃদ্ধ ফোন হিসেবে ধরা হয়।
ক্যামেরাঃ
বর্তমানে স্মার্টফোনগুলোর এত জনপ্রিয়তার একটা বড় কারণ হলো তার ক্যামেরা। সবাই চায় একটি ভালো ক্যামেরার ফোন কিনতে। বর্তমানে ১২ মেগাপিক্সেলের নিচের ক্যামেরার ফোনগুলোকে সবচেয়ে লো কোয়ালিটির ক্যামেরার ফোন বলা হয়। তাই চেষ্টা করুন ১২ কিংবা এর চেয়ে বেশি মোগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে এমন ফোন কিনতে।
ব্যাটারিঃ
ভালো ফোনের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি বেশ ভালো ব্যটারি ব্যাকআপ দিতে পারবে। বর্তমান ফোনগুলো ব্যাটারি প্রযুক্তিতে অনেকটা উন্নত করেছে। তার পরেও ৫০০০ এমএইচআরের ব্যাটারিগুলোকে পারফেক্ট হিসেবে ধরা হয়। এর পাশাপাশি অবশ্যই দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে একটু দেখা উচিত।
নতুন মোবাইল ফোন কেনার আগে বিশেষ করে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন।