নবদূত রিপোর্টঃ
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় নিজ বোমায় নিহত সেই বোমা কারিগরের বাড়ি থেকে ৩০ টি গ্রেনেড বোমা উদ্ধার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-৬) যশোর।
এসময় বোমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত দেড় কেজি গান পাউডার উদ্ধার করেন র্যাবের অভিযানিক দল।
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত র্যাব যশোর-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহাফুজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে বোমা কারিগর মৃত শপ্পার বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করে । পরে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থলে পৌছে বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করেন।
অভিযান শেষে বিকাল চারটায় ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোস্তাক আহম্মেদ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, অসৎ উদ্দেশ্যে এবং বড় ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে শক্তিশালী এ ৩০ টি গ্রেনেড বোমা তৈরি করেছিলো বোমা কারিগর শহিদুল ইসলাম শপ্পা।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিজ ঘরে বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরণে বোমা কারিগর সপ্পা আহত হয়। এবং পরদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনার পর থেকে বিষয়টির উপর র্যাবের একটি গোয়েন্দা টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে।
র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের দেয়া তথ্য মতে র্যাব যশোর-৬ এর অভিযানিক দল শুক্রবার সকাল থেকে ঘটনাস্থলে ও তার আশপাশে অভিযান শুরু করে।
পরে তারা ওই ডোবা থেকে ত্রিশটি বোমা ও দেড় কেজি গান পাউডার উদ্ধার করে।
উদ্ধার অভিযান শেষে র্যাব সদর দপ্তর থেকে থেকে ৫ জন বোমা ডিসপোজাল বিশেষজ্ঞ এনে বোমাগুলো নিস্ক্রিয় করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট কার্পেটিং বাজারস্থ এলাকায় ইব্রাহিম মোল্যার ছেলে বোমা কারিগর শপ্পা (৩৬) বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরিত হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরদিন ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এঘটনায় অভয়নগর থানা পুলিশের মামলায় বোমা কারিগরের স্ত্রী বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
বিলাল মাহিনী/কেএস