Friday, November 15, 2024
Homeজাতীয়প্রাকৃতিক হাসপাতাল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক হাসপাতাল নয় : আনু মুহাম্মদ

প্রাকৃতিক হাসপাতাল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক হাসপাতাল নয় : আনু মুহাম্মদ

নবদূত রিপোর্ট:

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, আমাদের দেশে হাসপাতাল দরকার আছে। তবে সেটা সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু প্রাকৃতিক হাসপাতালকে ধ্বংস করে নয়। মানুষের প্রকৃতির জায়গাকে নষ্ট করে কিছু লোকের ব্যবসা করার জন্য, মুনাফা অর্জন করার জন্য হাসপাতাল নামে দখল বৈধতা দেওয়া এটার বিরুদ্ধে আমাদের কঠিন প্রতিরোধ অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের সামনে চট্টগ্রামের ফুসফুস খ্যাত সিআরবিতে বেসরকারী হাসপাতাল ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে আয়োজিত এক ‘প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ’, ‘বটতলা’, ‘চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’, ব্যান্ড দল ‘লীলা ব্যান্ড’, ‘মাদল’ এবং শিল্পী কফিল আহমেদ যৌথভাবে এর আয়োজন করে।

সমাবেশে আনু মুহাম্মদ বলেন, চট্টগ্রামের এই সিআরবির ঘটনা শুধু চট্টগ্রামেই নয়, বরং সারাদেশেই এই ধরনের লুণ্ঠন, আগ্রাসন, দখল, উন্নয়নের নামে বিকৃত উন্মাদনার শিকারে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের কথা বলা হচ্ছে যে, হাসপাতাল হবে মানুষের চিকিৎসার জন্য। কিন্তু মানুষ কেন অসুস্থ হয়, সেই জায়গাটা যদি আমরা খেয়াল করি তাহলে দেখবো, ঢাকা শহরে বুড়িগঙ্গা নদী যদি নর্দমায় পরিণত না হতো, ঢাকা শহরে যদি গাছপালা ও উন্মুক্ত জায়গা থাকতো তাহলে মানুষের এত অসুস্থতা তৈরি হতো না।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা এমন একটি দেশ পেয়েছি যেখানে আমাদের জীবন জীবিকা সবকিছুর জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে হয়। সরকার বধির, সরকার কালা, সরকার অন্ধ। তার সামনে শুধু মুনাফা, লুটেরা, লুটতরাজ কোটিপতিরাই রয়েছে। তাদের স্বার্থই সরকারের স্বার্থ। সুতরাং সিআরবি রক্ষার যে আন্দোলন, সে আন্দোলন সারা বাংলাদেশের মানুষ দেশকে রক্ষা করার জন্য একক ও যৌথভাবে করছে। এই আন্দোলনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে যাতে কিছু খাদক ও ঘাতকচক্রের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা যায়।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- লেখক ও গবেষক রেহনুমা আহমেদ, শিল্পী কফিল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, বেলার নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সিআরবি রক্ষা মঞ্চের সংগঠক হাসান মারুফ কর্মী, সাংবাদিক ও গবেষক সাইদিয়া গুলরুখ, অ্যাক্টিভিস্ট বাকি বিল্লাহ, এন্তনি রেবুগে রেমা, শিল্পী আহমেদ নওয়াজ প্রমুখ।

উন্মুক্ত প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে গান ও নাটক পরিবেশন করে লীলা ব্যান্ড, সহজিয়া, মাদল, বক্ররেখা, ভাটিয়াল শহুরে, সমগীত, বটতলা, প্রাচ্যনাট, থিয়েটার বায়ান্ন, বনফুল এবং চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এছাড়া এককভাবে গান, নাচ, আবৃত্তি, ছবি আঁকা, পারফর্মিং আর্টসহ নানান সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন- শিল্পী সুমন হালদার, আশরাফুল হাসান, জিয়া শিকদার, নাসির আহমেদ, হাবিবুল্লাহ পাপ্পু, অমল আকাশ, ইয়াসমিন জাহান নূপুর, ফারহা নাজ মুন, ইশরাত শিউলি এবং অনন্যা লাবনী।

RELATED ARTICLES

Most Popular